জাতীয়

করোনা হাসপাতাল থেকে ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার গায়েব


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ড থেকে ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ৩০টি সিলিন্ডার মিটার গায়েব হয়ে গেছে। কিন্তু গত সাত দিনেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে সন্ধান চালিয়ে উধাও হওয়া কোনো সিলিন্ডার উদ্ধার করতে পারেনি তারা। এতদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও শনিবার বিকালে তা ফাঁস হয়ে যায়।

এ ঘটনা তদন্তে একজন চিকিৎসককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আরেক সহকারী পরিচালক ডা. মো. নাজমুল হোসেন, ডা. মাহমুদ হোসেন, স্টোর অফিসার অনামিকা এবং সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার।

মেডিকেলের স্টোর সূত্র জানায়, করোনা ইউনিটের ওয়ার্ড মাস্টারদের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও সিলিন্ডার মিটার সরবরাহ করা হয়। কোন ওয়ার্ডে কতটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও সিলিন্ডার মিটার নেওয়া হয়েছে তার তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ডে তল্লাশি করে অন্তত ১০০ সিলিন্ডার ও ৩০টি সিলিন্ডার মিটারের হদিস পাওয়া যায়নি। নন-কোভিড ওয়ার্ডেও সেগুলোর খোঁজ মেলেনি। বিষয়টি পরিচালককে অবহিত করা হলে তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

তদন্ত কমিটির সদস্য সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, স্টোর থেকে পরিচালককে অবহিত করা হয় সিলিন্ডার ও মিটার পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত সপ্তাহে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মিটারের সন্ধান চালানো হচ্ছে। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উধাও হওয়া সিলিন্ডার ও মিটারের সন্ধান মেলেনি। এ জন্য একজনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মিটার উধাও হওয়ার খবর পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর অবহেলার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারিভাবে সরবরাহ করা এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদান পাওয়া সিলিন্ডারসহ শেরেবাংলা মেডিকেলে ৬২৮টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে বলে পরিচালক জানিয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেন সংকটের কারণে বিভিন্ন সময় নিজস্ব অর্থায়নে এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা দেওয়া হয়। সেখানে ছোটবড় মিলিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল ৬১৬টি। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ছিল ১১৩টি।