লাইফ স্টাইল

কোন কাজে বাতকর্ম বেশি হয়, জানেন?


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বাংলা সাহিত্যের বহুল প্রচলিত একটি পংক্তি হলো- যত দোষ, ওই নন্দ ঘোষের। সাহিত্য, রাজনীতি কিংবা খেলাসহ অন্য সব ক্ষেত্রেই এই কথাটি সমান প্রযোজ্য। এটি প্রবাদবাক্য না হলেও প্রবাদতুল্য অবশ্যই। কেননা বাংলায় একথা এতবার নানা জায়গায় ব্যবহার হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে যে, এর আভিধানিক অর্থ কাউকে বলে দিতে হয় না। এই ব্যাটা নন্দ ঘোষ কী আসলেই যত দোষের গোড়া? সে বিষয়টি খুঁজতে হলে একটু পেছনে যেতে হবে। এর প্রকৃত অর্থ হলো, সব দায়দায়িত্ব একজনের ওপর চাপানো।

এবার আসি বাতকর্মের কথায়। অতিরিক্ত বাতকর্মের জন্য আমরা বিভিন্ন কারণকে দায়ী করি। বাতকর্ম নিঃশব্দে হলে এর দায় কেউই নিজের কাঁধে নিতে চান না। আর সর্বসমক্ষে জোরদার হলে কোনো উপায় নেই, সে ক্ষেত্রে লজ্জা পেতেই হয়। তবে এর পেছনের কারণগুলো শুধরে নিলে কিন্তু এই বাতকর্ম থেকে অনেকাংশে নিষ্কৃতি মিলবে।

এবার ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে জেনে নিন কোন কাজে বাতকর্ম বেশি হয়-

সোডা জাতীয় পানীয় পান

বাজারে সোডা জাতীয় যেসব সফট ড্রিংস পাওয়া যায় তাতে কার্বোনেটেড মেশানো থাকে। তাই পান করার কিছুক্ষণ পর থেকে ঢেকুর উঠতে শুরু করে। এই হাওয়া উর্দ্ধমুখী বা নিম্নমুখী হয়ে বার হয়। তাই বাতকর্ম হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

সালাদ

সালাদ স্বাস্থ্যকর সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আপনার অতিরিক্ত বাতকর্মের পেছনে যে এই স্বাস্থ্যকর অভ্যাসও থাকতে পারে তা ভেবে দেখেছেন? আসলে ব্রকোলি, বাঁধাকপি বা শাকসবজিতে এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট থাকে যা সহজে হজম হয় না। তাই অবাঞ্চিত গ্যাস তৈরি করে।

মুলা

শীতকালে বাজারে সাদা, লাল, গোল চ্যাপ্টা, লম্বা বিভিন্ন ধরনের মুলা দেখলে মাথার ঠিক থাকে না। রান্নায় তো বটেই পারলে কাঁচা চিবিয়ে খান। বাতকর্ম হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।

হাওয়া গিলে ফেলা

খাওয়া, কথা বলা, স্ট্র দিয়ে কোন পানীয় পান করা ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে আপনি অজান্তেই বেশ খানিকটা হাওয়া গিলে ফেলেন। সেটা গিয়ে জমা হয় ইন্টেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে। যখন আর হাওয়া ধরার জায়গা থাকে না, তখন সেটা বাতকর্মের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।

মিষ্টি

যা কিছু খান, শেষে একটু মিষ্টি না হলে চলে না। বাড়িতে থাকলে হাঁটতে-চলতে মুখ চলতেই থাকে। তার সঙ্গে দিনে বেশ কয়েক কাপ চিনি দেওয়া চা। ব্যস, বাতকর্মের জন্য আর কী চাই! আজকের বেশির ভাগ মিষ্টিতে বা বাজারে মেলা মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে কৃত্রিম চিনি দেওয়া হয়। যাকে ইংরেজি আর্টিফিশিয়াল সুইটনার বলা হয়। এই চিনি কখনই আমাদের শরীর হজম করতে পারে না। ফলে শরীরে জমা হয়ে তা ফার্মেন্টেড হয় এবং গ্যাস তৈরি করে।

মানসিক চাপ

অতিরিক্ত মানসিক চাপ কখনই ভালো নয়। তা বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। ক্ষতির তালিকায় আপনি নতুন জিনিস জুড়ে নিতে পারেন। সেটা হলো বাতকর্ম। পেটের সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। ফলে মানসিক চাপ থাকলে তা পরোক্ষে পেটের ওপরও চাপ তৈরি করে। তার ফলেই হয় গণ্ডগোল।

সদ্য মা হয়েছেন

এ সময়ে এমনটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আসলে পেটের যে অংশ জুড়ে বাচ্চা ছিল, তা বেরিয়ে আসার পর সেই খালি জায়গায় জমা হয় গ্যাস। তার ফলেই এমনটা হয়। ধীরে ধীরে তা ঠিক হয়ে যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য

পেট যদি ঠিকমতো পরিষ্কার না হয় কিংবা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হয় তা হলে বাতকর্ম হবেই। এ রোগ যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় সে ক্ষেত্রে দুর্গন্ধযুক্ত বাতকর্ম হয়। জমে থাকা মল থেকে গ্যাস নির্গত হয় এবং তা বাতকর্মের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে।