সারা দেশে গণটিকার কার্যক্রম আগামী শনিবার শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে শনিবারই পরীক্ষামূলকভাবে গণটিকার কার্যক্রম শুরু হবে। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলেছে, আগামী ১৪ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত পুরোদমে চলবে গণটিকার কার্যক্রম।
পূর্বঘোষণা অনুয়াযী, ৭ আগস্ট থেকে দেশে সপ্তাহব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দিন প্রায় ৩২ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিল সরকার। ইতোমধ্যে টিকা দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কোন পর্যায়ে কয়টি করে টিকাকেন্দ্র হবে, কোথায় টিকা কেন্দ্রগুলো করা হবে, তাও ঠিক হয়েছে। এ বিষয়ে মাঠপর্যায়ে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে সপ্তাহে দু’দিন নিয়মিত টিকাদান ঠিক রাখা হবে। এর বাইরে তিন দিন করোনার টিকা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক জানান, একেক দিন প্রায় ৩২ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কর্মসূচির প্রথম দিন এ পরিমাণ টিকাই দেওয়া হবে। সারা দেশে ৮১ হাজার ১৬৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী এ কাজে নিয়োজিত। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে দিনে তিন লাখের মতো করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দিতে কেন্দ্র থাকবে প্রায় ১৪ হাজার।
টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় অনলাইনে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি), সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
এর আগে গত ১ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ৭ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে সরকার ১ কোটি টিকা দিতে চায়। সরকারের হাতে এখন প্রায় সোয়া কোটি টিকা আছে। আরও এক কোটির মতো টিকা এ মাসের মধ্যেই আসবে।