চট্টগ্রাম

চসিকের নগর ভবন করার পরামর্শ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নগরের আন্দরকিল্লায় নগর ভবনের কাজ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) নিজস্ব উদ্যোগে করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।  
নগর ভবন নির্মাণের প্রকল্পটি বর্তমানে প্রি-একনেকে পর্যবেক্ষণের পর্যায়ে আছে।

মোট ২২ তলা ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবিত নগর ভবন প্রকল্পে আছে ২টি বেজমেন্ট। চসিক কার্যালয়ের পাশাপাশি অত্যাধুনিক এ ভবনে থাকবে কমার্শিয়াল স্পেস, ব্যাংক বিমার কার্যালয়।  

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ পরামর্শ দেন। এর আগে মেয়র ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিককে বরণ করেন। কুশল বিনিময়ের পর সাবেক এ মন্ত্রী চসিক এলাকায় নাগরিক দুর্ভোগ কমাতে কী কী সমস্যা আছে জানতে চান।   

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের দেশে কেউ আইন মানতে চায় না। তাই সমস্যা থেকে যায়। হকার মার্কেট আছে, কিন্তু ওখানে ব্যবসা যারা করছে তারা হকার না। সুউচ্চ ভবন নির্মিত হয়েছে কিন্তু মানা হয়নি বিল্ডিং কোড। বিল্ডিং কোডের বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও আন্তরিক না মনে হয়। যেকোনো ভবন ফুটপাত থেকে ৫ ফুট দূরত্বে নির্মাণের আইন আছে। কিন্ত কেউ মানছে না।  যে কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। তাই আইন মানার পাশাপাশি নগরবাসীকে চসিককে সহযোগিতা করতে হবে। নাগরিক সুবিধা পেতে নিয়মিত পৌরকর দেওয়া চাই। কর না দিলে করপোরেশন সেবা দেবে কীভাবে? এ শহর সবার। তাই মিলেমিশে এ নগরকে সুন্দর করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ মন্ত্রিত্বকালীন অভিজ্ঞতা ও দেশ-বিদেশে ভ্রমণের আলোকে চসিককে আত্মনির্ভরশীল করতে আয়বর্ধক প্রকল্প নেওয়ার পরামর্শ দেন মেয়রকে। তিনি নিম্নআয়ের ও শহরের বস্তিবাসীর পুনর্বাসনে কমমূল্যে কোনো আবাসনের প্রকল্প নেওয়া যায় কিনা তা ভাবতে বলেন।  

মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমি বুঝে শুনে ধীরে সুস্থে পরিকল্পিত উপায়ে এগুতে চাই। করপোরেশনের আর্থিক অবস্থা বর্তমানে খুব একটা ভালো না। এ সীমাবদ্ধতার মধ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে। তাই পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে প্রয়োজনে পাইলট প্রকল্প নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে দুইটি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কাজ আউট সোর্সিংয়ে দেওয়া যায় কিনা দেখবো। যদি সুফল মিলে তবে ধারাবাহিকভাবে সব ওয়ার্ড দিয়ে দেওয়া হবে।  

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে কথা দেন।  

এ সময় রাজনীতিক অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, জসিম উদ্দিন শাহ, নুরুল আনোয়ার বাহার, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, সুদীপ বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।