চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রদের অন্যতম আবাসিক হল এ এফ রহমান হল। বর্তমানে এই হলের নাম পরিবর্তিত হয়ে রূপ নিয়েছে বিজয় হল নামে। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে মেলছে না কোনো উত্তর। বলা চলে এক পর্যায়ে নির্বিকার প্রশাসন। শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের নামে চিকামারায় পাল্টে গেছে ৪ তলা বিশিষ্ট পুরো এই হলটি।
জানা যায়, আবাসিক হলগুলো বর্তমানে দখলে রয়েছে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপগুলোর কাছে। যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের থাকতে হচ্ছে হলের বাইরে। অন্যথায় কোনো একটি গ্রুপের অনুসারী হিসেবে হলে উঠতে হয় শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন হলের আসন বরাদ্দ না হওয়ায় তৈরি হয়েছে এমন হল দখলের সংস্কৃতি। এই গ্রুপটির দখলে রয়েছে এএফ রহমান, আলাওল এবং সোহরাওয়ার্দী হল। বিজয় গ্রুপ মূলত শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী নেতা কর্মীদের সংগঠন বলে জানা গেছে।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিপরীক্ষার সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় শাটল ট্রনের বগিভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। এছাড়া শাটল ট্রেনের বগিতে গ্রুপের নামে চিকামারা, টি-শার্ট, প্লাকার্ড এবং শ্লোগান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন আদেশের ভ্রুক্ষেপ করছেন নেতাকর্মীরা
বিজয় গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম সবুজ বলেন, আমরা বগিভিত্তিক রাজনীতির পক্ষে নয়, তবুও হলগুলোর দেয়ালে কর্মীরা হয়তো তাদের আবেগ থেকে চিকা মারে। সেটা শুধু আমাদের গ্রুপ না, প্রতিটি গ্রুপের কর্মীরা এটা করে থাকে।
চবির এএফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী এসএম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন,‘বছর খানেক আগে পুরো হল পরিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এর পরদিনই হলের দেয়ালে আবার চিকামারা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে কাছেও ভালো লাগেনি। যেহেতু এখানে ছাত্র সংগঠনগুলোর চিকামেরেছে। তাই তাদের নেতাদেরও বিষয়টি দেখা উচিৎ। এরপরও আমরা বিষয়টি দেখছি।’