জাতীয়

জামিন হয়নি, আবারো রিমান্ডে পরীমনি


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

আলোচিত চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় রিমান্ড ও জামিনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আদালত আবারো পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে তথ্য জানা গেছে।

এর আগে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে আদালতে পরীমনির শুনানি শুরু হয়। এদিন সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে তাকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। শুনানি করা সময় অন্যদিনের মতো আজও এজলাসে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল দেখা গেছে। এ সময় বিচারক আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেউ যদি পরীমনিকে দেখার জন্য এজলাসে প্রবেশ করেন তাহলে একটু দেখে বের হয়ে যান। আমাদেরকে শুনানি করার জন্য সময় দিন।’

গত ১৬ আগস্ট বনানী থানায় মাদকদ্রব্য আইনের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা তৃতীয় দফায় পরীমনির ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আজ পরীমনির উপস্থিতিতে এ রিমান্ড ও জামিনের শুনানি শুরু হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান ও নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ আরও অনেকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে ১৬ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমান জামিন আবেদন করলে আদালত জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার (১৮ আগস্ট) দিন ধার্য করেন। এরপর ১৮ আগস্ট পরীমনির জামিনের বিষয়ে শুনানি করতে আসেন তার আইনজীবী মুজিবুর রহমান ও নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ আরও অনেকে। কিন্তু বনানী থানার মাদক দ্রব্য আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তফা তৃতীয় দফায় আবারো পরীমনির পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য আজকের দিন বৃহস্পতিবার ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমানসহ আরও অনেকে জামিনের জন্য আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ১০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত তাদের প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং গত ৫ আগস্ট একই মামলায় পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।

গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে ভয়াবহ মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। পরীমনির ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস এবং ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।

এরপর রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে র‌্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে র‌্যাব সদরদফতর থেকে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে নিয়ে বনানী থানার উদ্দেশে রওনা দেয় র‌্যাবের একটি টিম। এরপর র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। তিনি বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের সরবরাহ করতেন এবং পার্টিতে অংশ নিতেন।