জাতীয়

জিয়ার খেতাব নিয়ে বিক্ষোভ, বিএনপির ১৭ নেতাকর্মী আটক


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির ১৭ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের প্রতিবাদে বিএনপি’র ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ওই ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার মধ্যে তাদের আটক করা হয়। শাহবাগ থানা পুলিশের দাবি, পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।

এব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুনুর রশিদ বলেন, বিএনপি’র সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই হট্টগোল শুরু হয়। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দলটির নেতাকর্মীরা সমাবেশ করছিল।

যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার অনুরোধ করা হলেও বিএনপি’র নেতাকর্মীরা শোনেননি। উল্টো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উত্তেজনার মধ্যেই সমাবেশের পাশ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়া হয়। এতে আমি নিজেসহ বেশ ক’জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আত্মরক্ষায় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এতে বিএনপির কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, বলেন ওসি।

পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধার অভিযোগে বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তবে বিএনপি’র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশের হঠাৎ লাঠিচার্জ ও ধাওয়ায় প্রেসক্লাবের বাউন্ডারি গ্রিল ভেঙে কর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করে। এতে একজন কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

তবে আটকদের পরিচয় জানানো হয়নি। বিকেল চারটা পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তারও দেখায়নি পুলিশ।

শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান করছেন আটক নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। তাদের মধ্যে এক জন রেবেকা সিদ্দিকী মিতা। আটক করা হয়েছে তার স্বামী যুবদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি জাকির সিদ্দিকীকে।

মিতা বলেন, ‘পুলিশ কনফার্ম করেছে তিনি (জাকির) ভেতরে আছেন। কিন্তু ঢুকতে দিচ্ছে না। খাবার নিয়ে আসছি।’

সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হলেও সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন।

এক পর্যায়ে যুবদলের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিকে, বিএনপির সমাবেশের কারণে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ অবস্থা চলে প্রায় ১০ মিনিট।

প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, যুবদল মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।