জাতীয়

টেকনাফে পচন ধরেছে মিয়ানমারের পেঁয়াজে


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কক্সবাজারের টেকনাফে গতকাল সকাল থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। ফলে অনেক শ্রমিক কর্মস্থল টেকনাফ স্থলবন্দরে যোগ দিতে পারেননি। শ্রমিকের অভাবে মিয়ানমার থেকে আমদানিকরা ১৫টি ট্রলারে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণের পেঁয়াজে পচনও ধরেছে। এ ছাড়া অন্যান্য মালামাল ভর্তি ১৫টি ট্রলার ঘাটে পড়ে রয়েছে। তাতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থলবন্দর ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, হঠাৎ করে গতকাল থেকে লকডাউনের কারণে অনেক শ্রমিক কর্মস্থল টেকনাফ স্থলবন্দরে যোগ দিতে পারেননি। এতে স্থলবন্দরের সব কার্যক্রমে বন্ধ হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও কাঁচা মাছের ট্রলারসহ

বিভিন্ন মালামালের ট্রলার ঘাটে পড়ে আছে। কৃতপক্ষ শ্রমিকের অভাবে এগুলো খালাস ও ডেলিভারি দিতে পারছে না। এরই মধ্যে ঘাটে নোঙরে থাকা ট্রলারভর্তি পেঁয়াজ ও মাছে পচন ধরছে। এতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ কারণে ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হঠাৎ করে লকডাউনের কারণে অনেক শ্রমিক কাজে যোগ দিতে পারেননি। শ্রমিকের অভাবে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ও মাছসহ ৩০টি বিভিন্ন মালামালের ট্রলার খালাস করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি পচনশীল পেঁয়াজ ও মাছ খালাস এবং ডেলিভারি দ্রুত স¤পন্ন করতে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ স্থলবন্দর ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফারুক বলনে, মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত ৫ হাজার বস্তা পেঁয়াজের ট্রেক্সসহ সব কার্যক্রম শেষ করেছি। কিন্তু শ্রমিকের অভাবে পেঁয়াজ ভর্তি ট্রলারগুলো এখনো ঘাটে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এমনিতে পেঁয়াজ পচনশীল, এভাবে ঘাটে পরে থাকলে ট্রলারে সব পচে যাবে। তাই দ্রুত পেঁয়াজগুলো খালাস শেষে ডেলিভারি স¤পন্ন করতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না হলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিতে পরতে হবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ স¤পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ চৌধুরী জানান, স¤পূর্ণভাবে লকডাউনের আত্ততায়মুক্ত টেকনাফ স্থলবন্দর। তারা সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালাতে পারবে। শুনেছি শ্রমিকের সংকটের কারণে বন্দরের কার্যক্রম কিছুটা কমে গেছে। তবে প্রয়োজনে তারা আশপাশের শ্রমিক দিয়ে কাজ চালাতে পারেন। এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বাধা নেই।