চট্টগ্রাম

ডিসি হিলে অনুষ্ঠান : তালা খুলতে পারে ডিসেম্বরে


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমলে ডিসি হিল সাংস্কৃতিক আয়োজনের জন্য খুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ডিসি হিলে প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সাংস্কৃতিক আয়োজন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস থেকেই খুলতে পারে ডিসি হিলের ফটক।  নগরীর সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ‘নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের’ একটি প্রতিনিধি দল গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এ সময় সিআরবি রক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সম্প্রতি সিআরবি রক্ষার আন্দোলন শুরুর পর একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন সিআরবি’র পাশাপাশি ডিসি হিলও খুলে দেওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন। স্মারকলিপি দেওয়ার পর সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান ডিসি হিলের মুক্তমঞ্চে আবারও অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান গতকাল বলেন, ‘হাঁটাচলার জন্য গত পরশু থেকে ডিসি হিল খোলা আছে। করোনার প্রাদুর্ভাব কমলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের খুলে দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, পুরোদমে পর্যটনকেন্দ্র, বিনোদন পার্ক ও সাংস্কৃতিক কর্মকা- উন্মুক্ত ঘোষণার পর সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান জেলা প্রশাসকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘তিনি (জেলা প্রশাসক) ডিসি হিলে আবারও অনুষ্ঠান শুরুর অনুমতি দিতে চান। ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিটা একটু পর্যবেক্ষণ করতে চান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একটি বিশেষ দিন থেকে যেমন-১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হতে পারে, তিনি ডিসি হিলের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেবেন। তবে এর আগে এখানকার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসে একটি নীতিমালা তৈরি বা একটি কমিটি করার বিষয় বিবেচনা করছেন। সবাই যেন ডিসি হিলের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান করতে পারেন, এ বিষয়ে তিনি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।’

দৃষ্টিনন্দন ডিসি হিলের চূড়ায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবন আছে। আর পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে মুক্তমঞ্চ। তবে মুক্তমঞ্চ তৈরির আগ থেকেই বর্ষবরণের আয়োজন হত ডিসি হিলে। বছরজুড়ে এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হতো। যার অনুমতি নিতে হত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে।

২০১৭ সালে জেলা প্রশাসন শুধু বাংলা বর্ষবরণ ছাড়া ডিসি হিলে সব ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এদিকে, গত বুধবার থেকে সকালে তিন ঘণ্টা প্রাতঃভ্রমণের জন্য ডিসি হিল সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হচ্ছে। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বিকেলে বন্ধ থাকছে। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, দক্ষিণ জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাহান চৌধুরী, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান, সাংস্কৃতিক সংগঠক স্বপন মজুমদার, প্রণব চৌধুরী প্রমুখ।