আন্তর্জাতিক

তালেবান ইস্যুতে সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক বাতিল


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

তালেবান ইস্যুতে ভারতসহ কয়েকটি দেশের আপত্তির মুখে নিউইয়র্কে সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক শীর্ষ বৈঠক বাতিল হয়ে গেছে। আজ বুধবার এনডিটিভি, ফার্স্টপোস্টসহ শীর্ষস্থানীয় একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান চেয়েছিল ৮ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আফগানিস্তান থেকে তালেবান প্রতিনিধিত্ব করুক। কিন্তু ভারত এবং অপরাপর কয়েকটি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবে আপত্তি জানায়। তারা একটি চেয়ার ফাঁকা রেখে বৈঠকটি করতে চাইলেও পাকিস্তান বাধ সাধে। এর ফলে মতৈক্যের অভাবে বৈঠকটি বাতিল করা হয়।

শীর্ষ বৈঠকটির আয়োজক ছিল নেপাল, যা প্রতিবছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জাতিসংঘ জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে সার্ক-এর ৭৬তম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।

তবে নেপালের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়, সার্কভুক্ত দেশগুলোর সদস্যদের মধ্যে প্রবল মতান্তরের জেরেই বাতিল করা হয়েছে ওই বৈঠক। শুধু তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বৈঠকে নিয়ে আসাই নয়, আশরাফ গনির সরকারের কোনো প্রতিনিধিত্ব যাতে সার্কের বৈঠকে না থাকে, সেই দাবিও রেখেছিল ইসলামাবাদ।

সূত্রের খবর, বেশিরভাগ দেশই পাকিস্তানের দাবি মেনে নিতে নারাজ ছিল। তালেবান সরকারকে কেউই মানতে চায়নি। আর সেই কারণেই বৈঠক বাতিলের পথেই হাঁটতে হয়েছে সার্ক সদস্যদের।

আফগানিস্তান সার্ক এর কনিষ্ঠতম সদস্য। বাকি সদস্য হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কা। সার্ক এর পর্যবেক্ষক দেশগুলো হলো- চীন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইরান, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মায়ানমার, মরিশাস এবং আমেরিকা।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের কোনো দেশই এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। নতুন অন্তবর্তী সরকারের বেশিরভাগ মন্ত্রীদেরও জাতিসংঘে কালো তালিকাভুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নেওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছেন।

তালেবান সরকার ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে জাতিসংঘে দূত নিয়োগ দিয়েছে। তবে জাতিসংঘ এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রকার সম্মতি জানায়নি।