জাতীয়

দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৭ লাখ: বিআইডিএস


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৭ লাখের বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনের যাচাই-বাছাই শেষে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিআইডিএস জনশুমারির পরবর্তী মূল্যায়নের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিবিএসের করা জনশুমারির তথ্য ঠিক আছে কি না সেই বিষয়টি মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে মূল্যায়নের ক্ষমতা দিয়েছিল বিবিএস।

বিআইডিএস জানায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে ১৬ কোটি ৯৭ লাখ ৪৭৭ জন। তবে বিবিএসের প্রাথমিক প্রতিবেদনে ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। বিআইডিএসের যাচাই-বাছাইয়ে জনসংখ্যা বেড়েছে ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৬২ জন। বিআইডিএসের যাচাই-বাছাইয়ে আন্ডার কাউন্ট থেকে ২.৭৫ শতাংশ যোগ হয়েছে।

বিশ্বের যেকোনো দেশে জনশুমারির ৫ শতাংশ পর্যন্ত আন্ডার কাউন্ট জাতিসংঘের স্বীকৃত। জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে করা যাচাই-বাছাই অনুযায়ী বিবিএসের জনশুমারি সঠিক।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মতিউর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রকল্পের পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, জনশুমারি কাজ কিন্তু থেমে নেই। এর ধারাবিহিকতায় পিইসি রিপোর্ট প্রকাশ পেল। এখানে যেভাবে ফলাফল এসেছে সেভাবে হয়েছে। শুমারি করতে আমরা কোনো চেষ্টার কমতি করিনি। ধাপে ধাপে দেশের প্রতিটা কর্নারে আমরা পৌঁছে গেছি। সবার সহায়তায় এটা করতে সক্ষম হয়েছি। সম্প্রতি জাতিসংঘের আমন্ত্রণে বিবিএসের পক্ষ থেকে আমি গিয়েছিলাম। জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা আমাদের শুমারির ব্যাপক প্রশংসা করেছে এবং আমাদের শুমারিটি গ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে তারা।

বিআইডিএস জানায়, জনশুমারি প্রকল্পের তৃতীয় পক্ষের তদারকি কাজ শুরু হয়েছে গত ১০ অক্টোবর। দেশের ৩৫৪টি নমুনা এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করে বিআইডিএস। গত ৯ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বিআইডিএস শুমারি পরবর্তী মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু করে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ট্যাবের মাধ্যমে কম্পিউটার অ্যাসিসটেড পারসোনাল ইন্টারভিউয়িং (সিএপিআই) পদ্ধতিতে এটি করা হয়েছে। ৯ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিটে নির্ধারিত এলাকার অবস্থান করা সব দেশি-বিদেশি নাগরিকদের গণনার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া, ছয় মাসের কম সময়ের জন্য সাময়িকভাবে বিদেশে অবস্থান করা নির্দিষ্ট এলাকার সব বাংলাদেশি নাগরিককে পুনরায় গণনা করা হয়েছে।