চট্টগ্রাম

‘দেশের সবচেয়ে বড় ক্যান্সার হাসপাতাল হবে চটগ্রামে’

(Last Updated On: )

চট্টগ্রামে একদিন দেশের সবচেয়ে বড় ক্যান্সার হাসপাতাল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে শুধু তিনি নন- তার পরিবারের সবাই কষ্টে পড়ে যান। ওই পরিবারের সুখ বলতে আর কিছু থাকে না।

শনিবার নগরীর আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টারের মালেকা খাতুন অনকোলজি ওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দৈনিক আজাদীর সার্বিক সহযোগিতায় এই অনকোলজি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ূন মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক লায়ন গভর্নর কামরুন মালেক, লায়ন রুপম কিশোর বড়ুয়া, দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ। ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সার্বিক বিষয় উপস্থাপন করেন ডা. শেফাতুজ্জাহান।

অনুষ্ঠানে আমীর খসরু বলেন, আগে মানুষের ক্যান্সার হলে চিকিৎসা ছিল না। কিন্তু এখন সময়মতো যদি চিকিৎসা নেয়া যায় তাহলে রোগ কিছুটা সারানো সম্ভব। সে জন্য চট্টগ্রামে আজকে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, এটা অনেক বড় একটা উদ্যোগ। বড় একটা কর্মযজ্ঞ। আমি নিশ্চিত, যে জিনিসটা শুরু হয়েছে একটা ভালো উদ্যোগের মাধ্যমে; এটা অনেক উপরে যাবে।

যতটুকু প্রয়োজন তা করতে পারেননি জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমি মনে করি, আমরা এখানে যতটুকু করার প্রয়োজনীয়তা ছিল তা করতে পারিনি। কারণ, এ ধরনের একটা বিরাট কর্মযজ্ঞ কিন্তু একা করা যায় না। এখানে সহযোগী শক্তি সবচেয়ে বড়। আজকে মালেকা খাতুন অনকোলজি যেই ওয়ার্ড চালু হলো, এটার উদ্যোগ অনেক বড়।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সম্পর্কে যখন বলা হয়- প্রথম কথা সবাই বলে; ওখানে কোনো চিকিৎসা নেই। ঢাকা, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড যাও, চট্টগ্রামে কোনো চিকিৎসা নেই। এ কথাটা যে শুনতে হয়, এরচেয়ে দুঃখের আর বেশি কিছু নেই। কারণ আমাদের চট্টগ্রামের মানুষ খুব দয়াবান মানুষ। যদিও বা আমাদের সংস্কৃতিতে চ্যারিটিটা বেশি করতে পারি নাই, শিখি নেই, কালচারে নেই।

অনুষ্ঠানে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, আল্লাহ যে মেহেরবানি করে আমাদের এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সবচেয়ে বড় রূপ হচ্ছে অন্যকে সেবা দেয়া। আমি অন্যকে সেবা দেয়ার সেই চেষ্টা করছি। আপনারা জানেন, আমার বাবা আমাকে একটা কাগজ দিয়ে গেছেন, দৈনিক আজাদী। আমি ভাবলাম-সেটা তো সুন্দরভাবে ব্যবহার করা যায়। আপনাদের দোয়ায় আমি এই উদ্যোগের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি। এখন আরেকটি মেশিনের প্রয়োজন আছে, সেখানে প্রায় ৩০ কোটি টাকা প্রয়োজন। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করবো, সেই টাকা যেন আমি তুলে দিতে পারি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান রানা, ডা. কামরুন্নাহার দস্তগীর, ডোনার জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাগির, দাতা সদস্য হারুন ইউছুপ, নির্বাহী সদস্য তরিকুল ইসলাম তানভীর, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দিন, সাইফুল আলম, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, আবুল হাশেম প্রমুখ।