আন্তর্জাতিক

নারীদের জোর করে বিক্ষোভে আনছে তালেবান, না আসলে হুমকি


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার বর্ষপূর্তিতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল আফগানিস্তানে। তালেবানের নিজেদের পক্ষে সমাবেশে অংশ নিতে বাধ্য করেছে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বোরকা পরা নারীদের। বিক্ষোভে অংশগ্রহণে অনিচ্ছুক নারীদের বহিষ্কারেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ওই সমাবেশের সময় নারীদেরকে তালেবানের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড রাখতে বাধ্য করা হয়। একইসঙ্গে নারী ও পুরুষের আলাদা শিক্ষাসহ ইসলামী বিভিন্ন নিয়মনীতি কঠোরভাবে পালনের বিষয়ে তালেবানের নীতির পক্ষেও সমর্থন দিতে দেখা যায় তাদের।
আফগানিস্তানের একজন ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক নাতিক মালিকজাদা টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় নারীদেরকে জোর করে তালেবানের পক্ষে মাঠে নামানোর বিষয়টি তুলেধরেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন এক ঘণ্টার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে জড়ো হতে আমাদেরকে চাপ দেয় তালেবান। এর জন্য কালো বোরকা তারাই আমাদের দিয়েছিল। তারা আমাদেরকে বলেছিল- তাদের কথা অনুযায়ী সেখানে হাজির না হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং তারা কখনোই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবে না।
অবশ্য ওই নারী আফগান শিক্ষার্থীর নামপ্রকাশ করেননি সাংবাদিক নাতিক মালিকজাদা।

তালেবানের এর আগের শাসনামলে দশ বা বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ ছিল আফগানিস্তানে। তবে ক্ষমতায় ফেরা তালেবানের শিক্ষামন্ত্রী গত শনিবার বলেছেন, আফগান নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। তবে আলাদা শ্রেণিকক্ষে পুরুষ সহপাঠীদের থেকে পৃথক হয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন নারীরা।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তালেবানের শাসনে আফগানিস্তানে শিক্ষাসহ নারীদের সব ধরনের অধিকার মারাত্মকভাবে খর্ব করা হয়েছিল। কিন্তু এবার রাষ্ট্রক্ষমতায় ফিরে কট্টর ইসলামপন্থী তালেবান পূর্বের কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হতে দেখা যাচ্ছে না। আফগান নারীরা আবারও অধিকারবঞ্চিত হচ্ছেন বলেই অনেকের আশঙ্কা।

শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল বাকি হাক্কানি ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা বন্ধের ব্যাপারে কোনো অনুশোচনা নেই জানিয়ে বলেন, ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা বন্ধ করার ব্যাপারে আমরা তেমন কোনো সমস্যা দেখি না। কারণ দেশের মানুষ মুসলিম এবং তারা এটা মেনে নেবে।
চলতি মাসের শুরুতেই তালেবানের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন যদি তারা বোরকা ও নিকাব পড়ে আপাদমস্তক শরীর ঢেকে রাখেন। এছাড়া ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের আলাদা পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা না হলে অন্তত শ্রেণিকক্ষে পর্দা দিয়ে ছেলে-মেয়েদের আলাদা বসতে হবে।