জাতীয়

নুসরাতের ফাঁদে পড়ে সংসার ভেঙেছে অর্ধশত নারীর


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নুসরাত জাহান তানিয়ার লোভের বলি শুধু ছোট বোন মোসারাত জাহান মুনিয়াই হয়নি। নুসরাতের রংমহল আর সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে সংসার ভেঙেছে অর্ধশত অসহায় নারীর। কুমিল্লা এবং ঢাকার একাধিক ফ্ল্যাটের রংমহলে নুসরাত মুনিয়ার নেশায় আটকে পড়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়ে পথের ফকির হয়েছেন অনেক যুবক। ওইসব যুবকরা নিজের স্ত্রী সন্তানদের ভুলে মুনিয়া- নুসরাতের সঙ্গে রাত কাটাতেই মনযোগ ছিলো বেশি। শুধু নুসরাত-মুনিয়াই নয়-নুসরাতের রংমহলে কিশোরী থেকে মধ্যবয়সী একাধিক নারীদের দিয়ে মাসের পর মাস চালিয়েছে দেহ ব্যবসা। এই নুসরাতের রংমহলের প্রতি আসক্ত হয়ে নিজের স্ত্রী-সন্তানকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন যুবকরা। এই নুসরাত সিন্ডিকেটের কারণেই আজ অর্ধশত নারীর সুখের সংসার ভেঙে তছনছ।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উচ্চবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের অর্থশালী যুবকদের আকৃষ্ট করতেন ছোট বোন মুনিয়াকে দেখিয়ে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে নুসরাতের রংমহলে যুবকদের আমন্ত্রণ জানানো হতো। আর সাতপাচ না ভেবেই অনলাইনে নুসরাত সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হয়েছেন একাধিক যুবক। নুসরাতের কারণে ঘর সংসার ভেঙেছে অর্ধশত নারীদের মধ্যে এমনই একজন কুমিল্লার চান্দিনা এলাকার রেহেনা আক্তার। ১০ বছরের সুখের সংসারে আগুন দিয়েছে নুসরাত-মুনিয়ার রংমহল।

২০১১ সালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার কাজী বিল্লালের সঙ্গে বিয়ের পর রেহেনা দম্পতির দুই সন্তান নিয়ে রাজধানীর ঢাকার মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার এলাকায় ভালোই দিন কাটছিল। রেহেনার স্বামী কাজী বিল্লাল চায়না থেকে গার্মেন্টসের মালামাল আমদানি করে বাংলাদেশে বিভিন্ন গার্মেন্টেসে সরবরাহ করতেন। এই ব্যবসা করেই দুই সন্তানকে নিয়ে রেহেনা-বিল্লাল দম্পত্তির ভালোই চলছিল। কিন্তু সেই সুখের সংসারে আগুন লাগিয়ে দেয় নুসরাত জাহান তানিয়া ও তার ছোট বোন মুনিয়া।

২০১৯ সালে অনলাইনের মাধ্যমে নুসরাত-মুনিয়ার সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকেন কাজী বিল্লাল। টানা কয়েকদিন বাড়ীতে ফিরতেন না, অনেক সময় গভীর রাতে বাসায় ফিরতেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলেই রেহেনাকে মারধর করতো স্বামী বিল্লাল। স্বামীর এমন বদলে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন একদিল মোবাইলে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার থেকে। মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে নুসরাত আর মুনিয়ার অশ্লিল একাধিক কথোপথন আর ছবি দেখে দিশেহারা হয়ে উঠেন রেহেনা। স্বামীকে নুসরাত আর মুনিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অমানিক নির্যতিনও করা হয়। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুজনের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়।

রেহেনা আক্তার বলেন,‘আমার সুখের সংসারে আগুন দিয়েছে এই নুসরাত-মুনিয়া। অনলাইনে এইসব নুসরাত আর মুনিয়াদের ফাঁদে পড়ে দেশের আনাচে কানাচে অনেকেই আমার মতো অনেক নারীর সংসার ভাঙছে। সরকারের উচিত এইসব নুসরাত মুনিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। এরা টাকার জন্য সব করতে পারে। একইভাবে নুসরাত সিন্ডিকেটের ফাদে পড়ে সংসার ভেঙ্গেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির ধনিয়া এলাকার পারভিন আক্তারের।

তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, এই নুসরাত সুন্দরী বোন মুনিয়াকে দিয়ে আমার স্বামীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের কারণে এখন আমার সংসারটি ভেঙে গিয়েছে।

রেহনা আক্তার আর পারভিন আক্তারই নয়- এই নুসরাতের রংমহলের ফাঁদে পড়ে অর্ধশত নারী এখন সংসার ছাড়া।