জাতীয়

১২ কেজি এলপিজির দাম বেড়ে ১২৫৯ টাকা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ ১ হাজার ৩৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২৫৯ টাকা করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, যা ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

আর উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে।

গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগে ছিল ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা।

আজ রবিবার (১০ অক্টোবর) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি।

গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল এই সংস্থা। তার পর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি।

সংবাদ সম্মেলনে দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। সেটিকে ধরেই দেশে যথাযথভাবে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। অপারেটররা নিশ্চয়ই এটি কার্যকর করবেন।

গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে আবার গত মাসে গণশুনানি করে কমিশন।

দাম ঘোষণার আগে মকবুল ই ইলাহি বলেন, ‘এক কেজি এলপিজির ব্যবহার মানে হলো ১৮ কেজি গাছ বাঁচানো। তাই এর ব্যবহার বাড়ানো দরকার। কম দামে এলপিজি আমদানি করতে হবে। প্রতিবেশী দেশ অনেক কম দামে এলপিজি আমদানি করছে।’

তিনি বলেন, ‘দামের কারণে এই গ্যাস জনপ্রিয় করতে পারেনি। দাম অনেক বেশি হওয়ায় জনপ্রিয় হতে পারেনি। আমরা এখনকার চেয়ে কিছুটা কম দামে আনতে পারি সামান্য উদ্যোগ নিলে। দামের ক্ষেত্রে মূসক একটা বড় বিষয়। দাম বাস্তবায়ন করতে গেলে ভোক্তাকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি গণমাধ্যমের একটা বড় ভূমিকা আছে। সচেতনতা একটি বড় বিষয়।’