লাইফ স্টাইল

পেটে কৃমি আছে কি না কীভাবে বুঝবেন?


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

পে’টে কৃমি আছে কি না- হ’ঠাৎ হ’ঠাৎ পে’টে ব্য’থা বা মাথার যন্ত্রণা। কিন্তু চিকি’ৎসকের কাছে যেতেই তিনি বলে দিচ্ছেন তেমন কিছুই হয়নি আপনার। সারাদিন শ’রীরে

অ্স্বস্তি বোধ লে’গেই রয়েছে। এটার কারণ একটাই হতে পারে, আর সেটা হল কৃমি। কিন্তু পে’ট ব্য’থা আর মাথা যন্ত্রণাই শুধু নয়, আপনার শ’রীরে যে কৃমি বাসা বেঁধেছে, তা বোঝার জন্য আরও কয়েকটি উ’পসর্গ রয়েছে।

কী সেই উ’পসর্গগু’লি?অস্থিরতা, অকারণে অতিরি’ক্ত চিন্তা, অবসাদে ভোগা, আত্মহ’ত্যাপ্রবণ হওয়া। মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার অতিরি’ক্ত ইচ্ছা। র’ক্তাল্পতা এবং

আয়রন ডেফিশিয়েন্সি। কৃমি থাকলে শ’রীরে র’ক্তের পরিমাণ কমতে কমতে অ্যানিমিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

ত্বকের রো’গে আক্রা’ন্ত হওয়া, র্যা শ, অ্যাকনে, চুলকুনি ইত্যাদি হওয়া। মাড়ি থেকে র’ক্তপাত হওয়া। ঘুমনোর সময়ে মুখ থেকে লালা পড়া। ফুড অ্যালার্জি। খিদে না

পাওয়া। মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলে স’মস্যা। অকারণে ক্লান্ত হয়ে পড়া। গা-হাত-পা ব্য’থা। নিশ্বা’স নিতে কষ্ট হওয়া। স্মৃ’তিভ্রম হওয়া।

উ’পসর্গগু’লি পড়ে অনেকেই নিজেদের স’মস্যার স’ঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন, কারণ সমীক্ষা বলেছে ৮৫ শতাংশ মানুষের পে’টে কৃমি থাকে। কিন্তু কীভাবে মু’ক্তি পাবেন

কৃমির হাত থেকে! মা’র্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকি’ৎসক আব্রাম বের জা’নিয়েছেন, ওষুধ নয়, কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কৃমি থেকে মু’ক্তি পাওয়া যাবে।

কাঁচা রসুন— কাঁচা রসুন অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। রসুন প্রায় ২০ ধ’রনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধ’রনের ফাংগাস মেরে ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত কুচনো কাঁচা রসুন খান অথবা রসুনের জুস করে খান।

লবঙ্গ— লবঙ্গ কলেরা, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মাকে প্র’তিরো’ধ ক’রতে পারে। এ ছাড়া রোজ লবঙ্গ খেলে ব্যাকটেরিয়া,ভা’ইরাস, ফাংগাস ইত্যাদি থেকে মু’ক্তি পাওয়া যায়।

আদা— আদা হজ’মের সমস্ত রকমের স’মস্যা মে’টাতে সক্ষম। হজ’মের স’মস্যা, অ্যাসিডিটি, পে’টে ইনফেকশন, ইত্যাদি দূ’র ক’রতে আদার জুড়ি মেলা ভার। এই স’মস্যাগু’লিও কৃমি থেকে তৈরি হয়। তাই এই ধ’রনের স’মস্যা দূ’র ক’রতে কাঁচা আদার রস খান খালি পে’টে।

শশার বীজ— ফিতাকৃমি রুখতে শশার দানা সর্বশ্রেষ্ঠ। শশার দানাকে গুঁড়ো করে নিন। প্রতিদিন এক চা-চামচ করে খান।

পেঁপে— পে’টের স’মস্যা দূ’র ক’রতে পেঁপের থেকে ভাল কিছু হয় না। যে কোনও ধ’রনের কৃমি তাড়াতে পেঁপের বীজ শ্রেষ্ঠ। ভাল ফল পেতে পেঁপে এবং মধু খান। কাঁচা হলুদ— কাঁচা হলুদ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে।

কলমি শাকের যত গুণ- দামে খুব স্বস্তা অথচ পুষ্টিগুণে অনন্য এমন খাবারের নামের তালিকায় উঠে আসবে কলমি শাকের নাম। কলমি শাক মূলত ভাজি অথবা ঝোল রান্না করে ভাতের স’ঙ্গে খাওয়া হয়। এছাড়া এই শাক দিয়ে পাকোড়া, বড়া ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়।

প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকের পুষ্টিমান : পানি- ৮৯ ৭ গ্রাম, আমিষ – ৩ ৯ গ্রাম, লৌহ – ০ ৬ গ্রাম, শ্বেতসার – ৪ ৪ গ্রাম, আঁশ – ১ ৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম – ০ ৭১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন – ০ ৯ মিলিগ্রাম, নায়াসিন – ১ ৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি – ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালোরি – ৩০ কিলো ক্যালোরি।

কলমি শাকের কিছু উপকারিতা :

১. কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থেকে বলে এই শাক হাড় মজবুত ক’রতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শি’শুদের কলমি শাক খাওয়ানো উচিত।

২. এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। ভিটামিন রো’গ প্র’তিরো’ধ করে।

৩. কলমি শাক বসন্ত রো’গের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

৪. পর্যাপ্ত পরিমানে লৌহ থাকায় এই শাক র’ক্ত শূন্যতার রো’গীদের জন্য দারুণ উপকারি।

৫. জ’ন্মের পর শি’শু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ালে শি’শু পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ পাবে।

৬. নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূ’র হয়