জাতীয়

প্রবাসীদের টিকা নিবন্ধনে জটিলতা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )
  • টিকার মালিকই সুরক্ষা অ্যাপস, তারা এখনো চালুই করেনি, আমরা শুধু গুছিয়ে দিতে সাহায্য করছি, না হলে ৪০ এর কম বয়স্কদের কেউই টিকা দিতে পারবেন না —মো. শহীদুল আলম এনডিসি, মহাপরিচালক, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো 
  • প্রায় আড়াইলাখ প্রবাসীর তালিকা আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে সোমবার থেকে নিবন্ধন এবং মঙ্গলবার থেকেই টিকা নিতে পারবেন প্রবাসীরা —ডা. মো. শামসুল হক, লাইন ডিরেক্টর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
  • ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপস পুরণে সফল হলেও সুরক্ষায় জটিলতা, পাঁচদিন পর চালু হতে পারে সুরক্ষা অ্যাপস   
  • ‘প্রস্তুতিহীনতার’ কারণেই টিকার নিবন্ধন করতে পারেননি— অভিযোগ প্রবাসীদের
  • দেশের বিভিন্ন জেলা কর্মসংস্থান কার্যালয়-টিটিসিতে ভোগান্তির শিকার প্রবাসীরা

প্রবাসীদের জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছিল সরকার, তা নিতে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাজধানীতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো প্রবাসী। আবার লাখ লাখ প্রবাসী টিকা নিবন্ধনের আশায় বাড়িতে বসেই মোবাইলে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপস পূরণের পর ‘সুরক্ষা অ্যাপ’ পূরণ করতে গিয়েও পড়ছেন বিপাকে। কুমিল্লার বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী সোহেল রানা আমার সংবাদকে জানান, তিনি বিএমইটির ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘এন্ট্রি ফরম ফর রিটার্নিং মাইগ্রেন্ট’ পুরণ করে দ্বিতীয় ধাপে সুরক্ষা অ্যাপ পূরণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তিনি বলেন, সুরক্ষা অ্যাপে এখন পর্যন্ত প্রায়রিটির তালিকায় ফ্রন্ট লাইনার, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকা শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করলেও যুক্ত করা হয়নি প্রবাসীদের। যে কারণে টিকা নিবন্ধনের জন্য সর্বশেষ ধাপ সুরক্ষা অ্যাপসে প্রবেশ করেও কোনো কাজ করতে পারেননি তিনি। একই জটিলতায় পড়েছেন কুমিল্লার হাজারো প্রবাসী। এছাড়া দেশের সকল জেলা কর্মসংস্থান কার্যালয়-টিটিসিতে নিবন্ধন করাতে গিয়েও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। কোথাও কোথাও বিক্ষোভ ঘটনাও ঘটেছে। প্রবাসীরা অভিযোগ তুলে বলছেন, সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের ‘প্রস্তুতিহীনতার’ কারণেই অনেকে ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারেননি।

অথচ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব সরোয়ার আলম তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, যেসব প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই এবং ৪০ বছরেরও কম বয়স্করাও টিকা নিতে পারবেন। প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধাপ-১ এ তিনি বলেন, ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপসের মাধ?্যমে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করে পাসপোর্টের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। ফরম পূরণের সময় দেয়া ফোন নম্বরে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে, যা ওই ফরমে দিতে হবে। আবেদনের ৭২ ঘণ্টা অথবা তার আগেই পাসপোর্ট যাচাইয়ের পর আবেদন সম্পূর্ণ হয়েছে মর্মে মেসেজ পেলে একটি নম্বর দেয়া হবে, সে নম্বরে ৩০০ টাকা বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। টাকা পাঠানোর পর বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়া যাবে। এ প্রক্রিয়ার বিকল্পও লিখেছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেন— যদি কোনো কারণে আমি প্রবাসী অ্যাপসের মাধ?্যমে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব না হয়, তাহলে নিজ নিজ জেলা কর্মসংস্থান কার্যালয়-টিটিসিতে গিয়ে ফরম পূরণ করা যাবে। সে ক্ষেত্রে পাসপোর্টের ফটোকপি ও ২০০ টাকা ফি দিতে হবে। তবে করোনা ও লকডাউনের মধ?্যে অফিসে না গিয়ে নিজের বাড়িতে বসেই আমি প্রবাসী অ্যাপসের মাধ?্যমে চেষ্টা করতেও বলেন তিনি। কারণ অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রশন করলেও পুনরায় সুরক্ষা অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপের বিষয়ে তিনি লিখেন— আমি প্রবাসী অ্যাপসের অথবা জেলা কর্মসংস্থান কার্যালয়-টিটিসিতে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পর সুরক্ষা অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ ওয়েবসাইটে আগামী দুই-তিনদিন পর ‘বিদেশগামী বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী’ নামের যে ফিল্ডটি প্রদর্শিত হবে তাতে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ?্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পর মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ?্যমে টিকা গ্রহণের তারিখ ও স্থান জানা যাবে। কিন্তু কার্যত আমি প্রবাসী অ্যাপস কিংবা বিএমইটির ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে সুরক্ষা অ্যাপসে প্রবেশ করেই বিপাকে পড়ছেন প্রবাসীরা। যেখানে প্রায়রিটির তালিকায় তিনটি অপশন আসলে প্রবাসীদের কোনো অপশনই আনছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম এনডিসি আমার সংবাদকে বলেন, ‘সুরক্ষা অ্যাপস এখনো চালুই হয়নি। এটা ৫ জুলাই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুরক্ষা অ্যাপসে বলা আছে, ৪০ বছরের নিচের কেউ টিকা পাবে না, আর যখন আমাদের এখানে (বিএমইটিতে) রেজিস্ট্রেশন হবে, তখন বিএমইটির রেজিস্ট্রেশন যার আছে সেই শুধু সুরক্ষা অ্যাপসে গিয়ে পাসপোর্ট নম্বর দিলেই তাকে অটোমেটিক খুঁজে নেবে। তখন বয়সের বিষয়টাও ক্রমার্জন হয়ে যাবে। অন্যরা যদি ১০ দিন পরে পায়, তারা হয়তো এক-দুদিন আগে পাবে। বা কোন সেন্টারে যেতে হবে, কোন দেশের টিকা পাবে তখন তারা এটা ক্লাসিফাইড করতে পারবেন। আর টিকার মালিকই হচ্ছে সুরক্ষা, তারা এখনো চালুই করেনি। আমরা শুধু গুছিয়ে দেয়ার জন্য সুরক্ষাকে সাহায্য করছি। তা না হলে যাদের বয়স ৪০-এর নিচে তাদের কেউই টিকা দিতে পারবে না।’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সৌদি আরবে চায়নার টিকা চলবে না। সেখানে চলবে আমেরিকার ফাইজারের টিকা। ফাইজার আবার সব সেন্টারে পাওয়া যাবে না, কোন সেন্টারে পাওয়া যাবে সেটা সুরক্ষা অ্যাপস বলে দেবে।’ দুবাই প্রবাসীরা কোন দেশের টিকা পেতে পারেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দুবাই এখনো ফ্লাইট না থাকার কারণে কোন টিকা পাবে, সে বিষয়ে তিনি জানেন না বলেও জানান।

এদিকে মহামারির মধ্যে সৌদি আরব ও কুয়েতগামী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইনের খরচ বাঁচাতে ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে শুধু ফাইজারের টিকাদান শুরুর কথা মঙ্গলবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কিন্তু কীভাবে এই টিকা দেয়া হবে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট কোনো বার্তা প্রবাসীদের কাছে যায়নি। ফলে অনেকেই লকডাউনের মধ্যে হাজার হাজার টাকা খরচ করে শুধু ভিসা হাতে রাজধানীর সাতটি হাসপাতালে ভিড় করেও বিফল হন। কারণ যাদের টিকে নিতে আসার জন্য এসএসএম পাঠানো হয়েছে, শুধু তারাই টিকা পাচ্ছেন। সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের ‘প্রস্তুতিহীনতার’ কারণে অনেকে ওয়েবসাইটে গিয়ে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারেননি, কেউ কেউ সফল হলেও এসএমএস পাননি বলে অভিযোগ করেছেন প্রবাসীরা। গতকাল এসব নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলাও হয়। কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকা না পেয়ে বিক্ষোভও করেছেন প্রবাসীকর্মীরা। সিলেট থেকে আসা এক কুয়েতপ্রবাসী বলেন, লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন না পেয়ে ১১ হাজার টাকায় একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকায় এসেছেন তিনি। কিন্তু এসে টিকা নিতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর দেখেছি, ঢাকার সাতটি হাসপাতালে টিকা দেবে। কিন্তু এখানে আসার পর বলে টিকা দেবে না।’ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসএমএস না আসায় প্রবাসী কর্মীদের টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশৃঙ্খলা করলে কোনো সমাধান আসবে না। প্রবাসী কর্মীদের টিকা দেয়া হবে বলে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাতটি হাসপাতালে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করবো, শব্দটা ছিলো ‘করবো’। কিন্তু বলার পর কাজটা শুরু করতে কিছুটা সময় দিতে হয়।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি সমাধান করতে আইসিটি বিভাগ কিছুটা সময় চেয়েছে। তারা বলেছে, রোববার বা সোমবার বিষয়টি ঠিক করে নেবে যেন আমরা সরাসরি নিবন্ধন করতে পারি। ‘বৃহস্পতিবার শুধু কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। পরে অন্য হাসপাতালগুলোতেও দেয়া হবে।’ সেসব প্রবাসী শ্রমিক এখনো জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইটি) নিবন্ধিত হননি তাদের দ্রুত নিবন্ধিত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ইমরান আহমেদ বলেন, ‘টিকা নেয়ার জন্য অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে, পাসপোর্ট নিয়ে এলে হবে না। ‘বিএমইটিতে রেজিস্ট্রেশন করলে নাম আর পাসপোর্ট নম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে হেলথের কাছে চলে যাবে। তখন অ্যাপের (সুরক্ষা ওয়েবসাইট) মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের সময় পাসপোর্ট নম্বর দিলেই রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। টিকা নেয়ার জন্য কোনো হাসপাতালে যেতে হবে, অ্যাপ সেটাও বলে দেবে।’ এদিকে সঠিক তথ্য না জানায় প্রবাসীদের অনেকে বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানান, এমএনসিঅ্যান্ডএইচের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক। তিনি বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকদের টিকা নিতে হলে অবশ্যই বিএমইটির মাধ্যমে নিবন্ধন করে আসতে হবে। প্রবাসী কর্মীরা নিজ জেলায় বিএমইটির অফিসে গিয়েও নিবন্ধন করতে পারবেন। সেই তালিকা আমাদের কাছে এলে আমরা যাচাই করে আইসিটিতে দেবো। আইসিটি পাসপোর্ট নম্বর যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা করবে। সবার শেষে সুরক্ষা অ্যাপের (ওয়েবসাইটের) মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। তারপর কেন্দ্র থেকে যেদিন এসএমএস যাবে সেই তারিখ অনুযায়ী সেদিন গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।’ এ পর্যন্ত প্রায় আড়াইলাখ প্রবাসীর তালিকা আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ডা. শামসুল বলেন, সেটা যাচাই-বাছাই শেষ হলে সোমবার থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। ‘সোমবার রাত থেকেই তাদের মোবাইলে এসএমএস যাওয়া শুরু করবে। মঙ্গলবার থেকেই টিকা নিতে পারবেন প্রবাসীরা।’ ডা. শামসুল হক জানান, টিকার জন্য নিবন্ধন করে এসএমএস পেয়েছেন এমন অনেকে ঢাকার সাতটি কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার ফাইজারের টিকা নিয়েছেন।

বিএমইটির নির্দেশে সারা দেশে গতকাল শুক্রবার জেলা কর্মসংস্থান ও টিটিসি কার্যালয় চালু রাখলেও সেখানে দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকার নিবন্ধন করাতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন প্রবাসীরা। তার মধ্যে সিলেট অন্যতম। প্রবাসীরা বলেন, সকাল ৯টায় রেজিস্ট্রেশন শুরুর কথা থাকলেও ১১টায়ও অফিস বন্ধ ছিলো। নিজেদের নাম বললে আাামদের ঝামেলায় পড়তে হবে। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। এখন ভ্যাকসিন না নিলে বিদেশে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সিলেট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মীর কামরুল হোসেন বলেন, আমরা যথাসময়েই অফিসে এসেছি। তবে নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে রেজিস্ট্রেশন কাজ শুরুতে দেরি হচ্ছিল। তিনি বলেন, করোনার এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিদেশ গমনেচ্ছু অসংখ্য প্রবাসী এসে কার্যালয়ের সামনে ভিড় করে। নিজেদের সুরক্ষায় তাদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছি। তাছাড়া কার্যালয়ে স্থান সঙ্কট গেট বন্ধ রেখেছি। যে যার মতো ফটকের বাইরে অপেক্ষা করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, সৌদি ও দুবাইগামীদের ইংল্যান্ডের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন নিতে হবে। অন্য দেশেরটা এ দুই দেশ গ্রহণ করে না।’

উল্লেখ্য, বিদেশগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিকে সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের সুবিধার্থে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) রেজিস্ট্রেশন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নির্দেশে সিলেটসহ দেশের ৪২টি জনশক্তি অফিস, ৯টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং একটি মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে অথবা ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে বিএমইটির এই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে। প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে গমন নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে বিদেশগামী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিএমইটির ডাটাবেজে নিবন্ধিত কর্মীরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির লক্ষ্যে Surokkha Apps ev www.surokkha.gov.bd-এর মাধ্যমে জরুরিভাবে টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। surokkha App-এ রেজিস্ট্রেশন সফল হলে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে টিকা সেন্টার ও টিকার তারিখ জানা যাবে। কোভিড-১৯ টিকা প্রদান ও সনদায়ন কার্যক্রম সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড। সে কারণে surokkha App বা www.surokkha.gov.bd-এ নিবন্ধিত হয়ে টিকা কেন্দ্র ও তারিখ সংক্রান্ত ম্যাসেজ না পাওয়া পর্যন্ত বিদেশগামী কর্মীদের কোনো হাসপাতাল, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বিএমইটি বা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে জমায়েত হয়ে টিকা নেয়ার সুযোগ নেই।’