জাতীয়

প্রেমের সালিশে কিশোরীকেই বিয়ে করলেন বিবাহিত চেয়ারম্যান


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

৬০ বছর বয়সে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করলেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার। তার এ বিয়ে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রেমঘটিত একটি সালিশ-বৈঠকে ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে পছন্দ হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ে করেন।

শুক্রবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে সালিশ-বৈঠকে গিয়ে নিজের প্রেমিকাকে হারানোর ঘটনায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কিশোর। পরে রাতেই তাকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২১ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার প্রথম স্ত্রী আছে। সেই সংসারে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে বিবাহিত।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কিশোরীর সঙ্গে এক কিশোরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান। এরপর চেয়ারম্যান আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেয়ার কথা বলে শুক্রবার কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের পরিবারকে যেতে বলেন। সে অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে যান। সেখানে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান। ওই ছেলে এবং মেয়ের বিয়ের বিষয়ে আর কেউ কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

স্থানীয় লোকজন ও কিশোরীর পরিবারের ভাষ্য, কাজি ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। বিয়ের কাবিননামায় কিশোরীর জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে দেয়া জন্মনিবন্ধন ও পঞ্চম শ্রেণি পাসের সনদ অনুযায়ী, তার জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল। বিয়ের পর কিশোরীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান চেয়ারম্যান। তবে বাড়িতে তার প্রথম স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না।