জাতীয়

ফোনালাপ ফাঁস: র‌্যাব সদর দপ্তরে চিত্রনায়ক ইমন


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে সরকারের সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কথোপকথনের অডিও ফাঁসের ঘটনায় চিত্রনায়ক মামনুন ইমনকে র‌্যাব সদরদপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, ডা. মুরাদের অডিও ফাঁসের ঘটনায় ইমনকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আজ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ইমন র‌্যাব সদর দপ্তরে উপস্থিত হন। তাকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ইমন। সেখানে তার ছবির ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ আজ সকালে বলেন, অভিনেতা ইমন রাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি তার ছবি ব্যাপারে কথা বলতে এসেছিলেন। চা খেয়ে চলে গেছেন।’

সাম্প্রতিক ঘটনায় নিজের নিরাপত্তার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন কি না- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সার্বিক বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে।’

এদিকে ইমন বলেন, ‘হারুন ভাই আমার পূর্বপরিচিত। তার সঙ্গে এর আগে নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। গতকাল যখন মন্ত্রীর সঙ্গে কল রেকর্ড ফাঁস হয়, সারাদিন এ নিয়েও আমাকে কথা বলতে হয়। আমি নিজের অবস্থান সবাইকে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি। তারপরও অনেক সহকর্মীরা আমাকে ভুল বোঝেন। কেউ কেউ আবার আমাকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে পোস্টও দেন। এসব আমাকে খুবই বিব্রত করেছে, কষ্ট দিয়েছে। বিপর্যস্ত আমি, তাই হারুন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে রাতেই তার অফিসে দেখা করতে যাই। আমার অবস্থান তার কাছে পরিষ্কার করি।’

সম্প্রতি মুরাদ হাসান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এবং তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অসৌজন্যমূলক কথা বলেন। এ ছাড়া এর কিছু পরেই মুরাদের একটি কথোপকথন ফাঁস হয়, যেখানে তিনি অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বলেন। ফোনে চিত্রনায়ক ইমনকে তিনি বলেন, ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে ডা. মুরাদের শাস্তির দাবি ওঠে।