জাতীয়

বিক্ষোভে উত্তাল নিউমার্কেট, পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের ঘোষিত সাত দিনের লকডাউন চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে রাজধানীর নিউমার্কেটে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া একই দাবিতে বসুন্ধরা শপিং মলের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা মলের সামনের সড়কে বিক্ষোভ–মিছিল করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকাল ৩টায় চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, নূর ম্যানশন, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটসহ আশেপাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় ব্যবসায়ীরা ‘লকডাউন মানি না, মার্কেট খোলা চাই’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ পিছু হটে ঢাকা কলেজের সামনে অবস্থান নেয়। বর্তমানে এলাকার যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক অবরোধের কারণে মিরপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষেরা।

নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসিন আলী বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। মার্কেটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরে পদক্ষেপ নেয়া হবে। ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো সেখানে মিছিল ও সমাবেশ চলছে। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী সেখানে মিছিল ও সমাবেশ করছেন। এ সময় তারা দাবি জানান, অবিলম্বে লকডাউন প্রত্যাহার করতে হবে। ব্যবসায়ীরা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যে বইমেলা খোলা রাখলেও মার্কেট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন। আমরা কোনো লকডাউন চাই না।

নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন দিলে শতভাগ লকডাউন দিতে হবে। কোনো কোনো খাত ছাড় দিয়ে কোনো কোনোটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাটা অন্যায়। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলা রাখতে পারলে নিজেদের খাবারদাবারের সংস্থান হবে, কর্মচারীরা বেতন পাবেন। সারা বছর ব্যবসায়ীরা এই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ঈদের সময় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেন। তিন ধাপে ব্যবসা ভেদে এ সময় কেনাবেচা হয়। রোজার আগের ১৫ দিন, রোজার প্রথম ১৫ দিন ও শেষ ১৫ দিন। এ সময়ে এসে দোকানপাট বন্ধ হওয়া মানে পথে বসে যাওয়া।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামীকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত পর্যন্ত চলাচল ও কাজে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় শুধু জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকবে। রোববার সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।