প্রধান পাতা

বোয়ালখালীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রিতদের জায়গা দখল !


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্টপুরা গুচ্ছগ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রিতদের সরকারি পাহাড়ি জায়গা কেটে দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আশ্রিতরা। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের গংগা ও মাতামুহুরী গুচ্ছগ্রামে বসবাস করছেন ২০ পরিবার। ২০০২ সালে সরকার তাদের এ ঘরগুলো দিয়েছে। এ পরিবারগুলোর পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি নালাটি গত ২৬ মে ভরাট করে ও পাহাড় কেটে জায়গা দখল করছেন স্থানীয় মো.আলমগীর নামের এক ব্যক্তি। আলমগীর ওই এলাকার মৃত অহিদুর রহমানের ছেলে। এতে বাধা দেওয়ায় এক আশ্রিত পরিবারের সদস্যদের মারধরও করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ২৬ মে আহত শাহানাজ আক্তার বাদী হয়ে বোয়ালখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রতিকার না পাওয়ায় তিনি গত ৩জুন থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। গত ২জুন থেকে আলমগীর ওই জায়গায় ঘর নির্মাণ করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আলমগীর প্রভাব খাটিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে অভিযোগ দিলে বেশ কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে। আলমগীর বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে পাহাড় কেটে ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের নালা ভরাট করে ঘর নির্মাণ করে চলেছেন। এছাড়া রোপণের জন্য গাছের চারা দিয়েছিল সরকার। রোপণকৃত এসব গাছও আলমগীর এবং তার ছেলে রানা কেটে ফেলেছে। এসব কাজে বাধা দিলে মারধর করে বিধায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক সরকার। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। প্রতিকার না পেলে সবাই মিলে জেলা প্রশাসকের কাছে যাবো।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাহাড় কাটার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হোসেন বলেন, ‘আলমগীরের চাচাতো বোনের স্বামী আবদুর সবুর শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কাটছেন। তাদের পাহাড় না কাটার জন্য নিষেধ করেছি।’ শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম বলেন, ‘সরকারি পাহাড়ি জায়গাটি আলমগীরের দখলে ছিলো। পরবর্তীতে সরকার ওই জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে দেয়। ফলে আলমগীর বারবার ওই জায়গাটি নিজের বলে দাবি করে দখলে যাবার চেষ্টা করছেন।’ সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আকতারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ করেননি।