প্রধান পাতা

বোয়ালখালী : সংশয়ে প্রার্থী ও ভোটাররা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

আর মাত্র ১০ দিন পরই (২০ সেপ্টেম্বর) বোয়ালখালী পৌরসভার ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের কারণে দুই দফায় ভোট স্থগিত করা হয়েছিল। ভোটের সময় ঘনিয়ে আসলেও এখনো সংশয়ে রয়েছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। মেয়র পদে আইনি লড়াইয়ে রয়েছেন প্রাথীরা। মেয়র পদ নিয়ে সংশয়-সন্দেহে এখনো মাঠে নামেনি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। নির্বাচনে মেয়র পদে বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা হাজি আবুল কালাম আবু, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জহুর, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইদ্রিস আলম মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ত্রুটিপূর্ণতার কারণে বর্তমান মেয়র আবুল কালাম আবু ও তার ছোট ভাই মো. ইদ্রিস আলমের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জহুরকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার-ইউএনও নাজমুন নাহার। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন বর্তমান মেয়র ও তার ভাই। আপিল বোর্ডও তাদের আবেদন খারিজ করে দেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন ইদ্রিস আলম। উচ্চ আদালতের রায়ে ইদ্রিসের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করায় তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং অফিসার। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জহুর। জহুরের আপিল করা মামলার রায়ে মো. ইদ্রিস আলমের মনোনয়ন ফের স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
সর্বশেষ রায়ের বিরুদ্ধে ফের উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন বলে জানান ইদ্রিস আলম। তিনি বলেন, ‘আইনের দরজা খোলা রয়েছে। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট সমস্যা নিরসন হওয়ার পরও নির্বাচনে যদি বাধা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে কোথাও শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। আইনি পথে আমি নির্বাচনে ফিরে আসব, এটাই আমার প্রত্যয়।’
আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় সর্বশেষ পেরেকটি টুকেও জয়ী হতে পারেননি ইদ্রিস আলম। আমি তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মী। ভোট হলে জনগণের আস্থা-ভালবাসায় সিক্ত হতাম। তারপরও আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এখন একক প্রার্থী।’
বর্তমান মেয়র হাজি আবুল কালাম আবুও মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, ‘সকল বাধা ডিঙিয়ে জনগণের মাঝে ফিরে আসব। ২০ তারিখ নির্বাচন। ১৯ তারিখও নির্বাচনী মাঠে ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে আমার। আইনি লড়াই চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ঘোষিত তারিখেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদে দুইজন প্রার্থী এখনও কাগজে-কলমে রয়ে গেছেন। কমিশনের চিঠি পেলে পরবর্তী অবস্থা আপনাদের জানানো হবে।’
পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৭ হাজার ১৩৫ জন, নারী ২৫ হাজার ৭০৩ জন। ৯টি ওয়ার্ডে ২৪টি কেন্দ্রে ১৪৫টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।