প্রধান পাতা

বোয়ালখালীতে সৎকারের নামে স্ত্রীর লাশ পুড়িয়ে ফেলার দায় স্বীকার


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

 বোয়ালখালীতে গৃহবধূ ইয়াছমিন আকতার এ্যানী (২৪) নামে এক মুসলিমকে হত্যার পর সৎকারের নামে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার স্বামী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার (২১ আগস্ট) বিকেল ৫টার সময় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত ১টার দিকে স্ত্রীকে হত্যা ও সৎকারের নামে মুসলিম মেয়ে পুড়ানোর দায়েরকৃত মামলায় স্বামী বাবলু দে (৩০) কে গ্রেপ্তার করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ।

স্ত্রী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আসামী বাবলু দে আদালতকে জানায়, ঘটনার দিন (৩ আগস্ট) দুপুরে কথা প্রসঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু হলে, রাগের বসে স্ত্রীর মাথায় জোরে আঘাত করে স্বামী বাবুল দে। এতে অজ্ঞান হয়ে যায় এ্যানী। 

পরে বাবুলের সহকর্মী সুমন দে নামক এক বন্ধুর মাধ্যমে স্থানীয় ফার্মেসী থেকে ডাক্তার ডেকে এনে দেখালে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরপরেই তিনি স্ত্রী মারা যাওয়ার ঘটনা স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান ও মাতব্বরকে জানায়। ওদের জানিয়েই হিন্দু রীতি অনুযায়ী লাশ দাহ করে ফেলেন। 

উপজেলার শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জ্যোষ্টপুরার রণজিত দের ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

গত ৩ আগস্ট মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে নিহতের মা-বাবা বাগেরহাটের মোংলা থানা থেকে এসে মেয়ের লাশ দেখতে না পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পরে স্বজনদের পরামর্শে গত ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা রোকসানা আকতার।

এতে স্বামী বাবলু দে,কে প্রধান আসামী করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোকারম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন চৌধুরীসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার কর্মকর্তা বোয়ালখালী থানার এসআই সুমন দে বলেন, গ্রেপ্তার প্রধান আসামি বাবলু দে আদালতে স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি মাথায় আঘাত করে স্ত্রীকে হত্যা করে পরে পুড়িয়ে ফেলেন।’

প্রসঙ্গগত, চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন ইয়াছমিন আকতার। চাকরির সুবাদে নিহত ইয়াছমিন বন্দরটিলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্বামী বাবলু দে (৩০) ওই এলাকায় পূজা নামক একটি সেলুনে কাজ করতেন। 

নিহতের কর্মস্থলে যাওয়া আসার পথে তাদের পরিচয় হয়। বাবলু হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্বেও তার ধর্মপরিচয় গোপন রেখে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এ্যানীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে এ্যানীকে বিয়ে করে তার সাথে সংসার শুরু করেন। তাদের সংসারে ইশা নামের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তানের জম্ম হয়।