প্রধান পাতা

বোয়ালখালীর প্রথম শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের ৫১ তম শাহদাতবার্ষিকী আগামীকাল


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )


মুক্তিযুদ্ধে বোয়ালখালীর প্রথম শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের ৫১ তম শাহদাতবার্ষিকী আগামীকাল বৃহষ্পতিবার (৪ আগষ্ট২০২২) ।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদের পরিবারের পক্ষ থেকে খতমে কোরান মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে। ৫ আগষ্ট শুক্রবার বিকালে দুপুরে শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে খেলাঘর বোয়ালখালী উপজেলা ।
স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান ৭১’র রণাঙ্গনের অন্যতম সৈনিক বোয়ালখালীর কধুরখীলের বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান। ৪ আগস্ট রাজাকার আলবদর বাহিনী ধরে এনে পাক বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিলো এ মুক্তিযোদ্ধাকে। রাজাকার বাহিনীর উপর গ্রেনেড ছুড়ে মারা ছিল তাঁর অপরাধ। সেদিন গ্রেনেড ছুড়ে কয়েকজন রাজাকারকে আহত করতে পেরেছিলেন তিনি।
১৯৭০ সালে এখলাছুর রহমান তখন দুরন্ত কিশোর। কধুরখীল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্র। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে কিশোর এখলাছের দায়িত্ব ছিল সংবাদ বাহকের।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত নির্যাতন, নিপীড়ন, ধর্ষণ, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ দারুণভাবে পীড়া দেয় কিশোর এখলাছকে। শত্রুহননের অদম্যস্পৃহা সৃষ্টি হয় তাঁর মধ্যে। ৭১ সালের আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে সোমবার দুপুরে তিনি ছুটে যান ছাত্র ইউনিয়নের মহিলাকর্মী মায়া চৌধুরীর কাছে। তাঁর কাছে থাকত দলের অস্ত্রশস্ত্র।
তাঁর কাছ থেকে তিনটি হাত গ্রেনেড সংগ্রহ করেন এখলাছ। উপজেলার কধুরখীল খোকার দোকান এলাকায় চায়ের দোকানে বসেছিলেন এখলাছ। সে সময় রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা কধুরখীল দুর্গাবাড়ির কাছে পৌঁছলেই এখলাছ তাদের লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারে হাত গ্রেনেড। ১ম টার্গেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে রাস্তার পাশে খাদে বিষ্ফোরিত হয়। এরপর হাতে থাকা বাকি দুটি গ্রেনেড ছুড়লে আহত হয় দু’রাজাকার সদস্য। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে রাজাকাররা। এখলাছ পালিয়ে যেতে পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। রাজাকাররা তাঁকে ধরে বিবস্ত্র করে বেঁধে ফেলে। রাজাকাররা লুঙ্গি দিয়ে পেঁচিয়ে রিক্সাযোগে উপজেলা সদরে আসার পথে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্ঠা করে এখলাছ।
সেদিন আর শেষ রক্ষা হয়নি। উপজেলার সদরের রাজাকার ক্যাম্পে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে নিমর্মভাবে তাকে হত্যা করা হয়। পরে ১০ আগষ্ট তাঁর লাশ পায় স্বজনরা। এরপর তারা উপজেলার আকুবদন্ডী গ্রামের বৈলতলী মাজার শরীফ সংলগ্ন কবরস্থানে তাঁকে দাফন করেন।
শহীদ এখলাছুর রহমানের ভাগিনা মোজাম্মেল হক এরশাদ জানান দেশ স্বাধীনের দীর্ঘ ৪৯ বছর পর বিগত ২৭ শে জুন ২০২০ ইংরেজী শহীদ হিসেবে গেজেট (৩৩২৯) প্রকাশিত হলেও নানান জটিলতার কারনে শহিদ মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা হতে এখনো বঞ্চিত।