জাতীয়

মাইকিং করে ২০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বিক্রি!


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বাগেরহাট শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ঘুরে-ঘুরে মাইকিং করে কোটা ইলিশ (কেটে পিস করা) বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি কোটা ইলিশ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।দামে কম এবং কোটার ঝামেলা না থাকায় কিনছেনও অনেকে। তবে এই কোটা মাছ আসলে স্বাস্থ্যসম্মত কি-না? তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।  

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকালে বাগেরহাট শহরের রেলরোডের মমতাজ হোটেলের সামনে একটি অটোরিকশায় মাইকিং করে কোটা ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। আশেপাশের ব্যবসায়ী ও নিম্ন আয়ের লোকজন সেই মাছ ক্রয়ের জন্য ভিড় করছে অটোরিকশার পাশে। কেউ কেউ কিনছেনও। আবার বিদেশি মাছ বলে না কিনে চলে যেতে দেখা যায় অনেককে। এত কম দাম হওয়ায় নিশ্চয় কোনো সমস্যা রয়েছে, এমনটিও দাবি করেছেন দু-একজন ক্রেতা।  

কোটা ইলিশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে বিক্রেতা কিশোর বলে, ভাই খুলনায়  কোম্পানি থেকে এই মাছ এনেছি। কোম্পানি-ই আমাদের দিয়ে বিক্রি করায়। আমরা দিন হিসাবে টাকা পাই।  

তবে কোম্পানি ও কিশোরের নাম জানতে চাইলে সে বলে, নাম জেনে কী করবেন?।

আলমগীর হোসেন নামে কোটা ইলিশ ক্রেতা বলেন, বাজারে এক কেজি ছোট ইলিশ কিনতে গেলেও কমপক্ষে ৪০০-৫০০ টাকা লাগে। সেখানে ২০০ টাকায় এক কেজি ইলিশ পাচ্ছি। এটাই তো ভালো। ভেজাল তো সব জায়গায় আছে। তো এক-দু’দিন ইলিশ খাইলে কিছু হবে না। তবে কোটা ইলিশের সাইজগুলো ছোট। তার ওপর আঁশ ফেলা হয়নি। দীর্ঘদিন কোল্ডস্টোরে থাকায় ইলিশগুলো প্রচুর ঠাণ্ডা ও অনেক শক্ত।

কোটা ইলিশ বিক্রির অটোরিকশার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপদ সড়ক চাই, বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি আলী আকবর টুটুল বলেন, বাগেরহাট সামুদ্রিক মাছের আড়ত কেবি বাজারে অনেক সময় বিদেশি মাছ বিক্রি হতে দেখেছি। দেশি ট্রলারের মাছের তুলনায় ওইসব মাছ অনেক কম দামে বিক্রি হয়। হয়তো ওই ধরনের নিম্নমানের মাছ বিক্রির জন্য এই পন্থা বেছে নিয়েছে কিছু অসাদু ব্যবসায়ীরা।  

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাগেরহাটের সভাপতি বাবুল সরদার বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ২০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ মাছ বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। কেন এত কমদামে এই ইলিশ বিক্রি করছে এ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা গ্রুপ কোনো অসৎ উদ্দেশ্যেও কম দামে খাবার অযোগ্য ইলিশ বাজারে পাঠাতে পারে। এ বিষয়ে প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাগেরহাট সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদাউস আনছারি বলেন, বাগেরহাট ও খুলনা শহরে মাইকিং করে কোটা ইলিশ বিক্রি করছে কেউ কেউ। এর পরিমাণ খুব কম। আমাদের ধারণা কোল্ডস্টোরে থাকা দীর্ঘ দিনের ইলিশ মাছ এভাবে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা এই কোটা ইলিশের স্যাম্পল সংগ্রহের চেষ্টা করছি। স্যাম্পল সংগ্রহ করে এই ইলিশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। যদি মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারকারী কোনো উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া যায়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।