Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )
পটিয়ায় সন্তানের বন্দুকের গুলিতে জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত জেসমিন আক্তারের মেয়ে তার ভাই মঈনুদ্দিন মো. মাইনুলের (৩০) বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দিনগত রাতে মাইনুলের বোন শায়লা শারমিন নিপা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, মঙ্গলবার রাতেই মাইনুলকে আসামি করে তার বড় বোন শায়লা শারমিন নিপা মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা যাবে।
এর আগে ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে পটিয়া পৌরসদরের ৫নম্বর ওয়ার্ডের সবজার পাড়ার নিজ বাড়িতে ছেলের গুলিতে জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৫০) নিহত হন। ঘটনার পর থেকে হত্যাকারী ছেলে মাইনুল পালাতক। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
পুলিশের ধারণা, পিস্তলের গুলিতে জেসমিন আক্তার প্রাণ হারালেও উদ্ধারকৃত কার্তুজ পিস্তলের নয়। কার্তুজগুলো বৈধ কি না, তাও নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শামসুল আলম মাস্টার গত ১৩ জুলাই অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৯০ সালের পর দুই মেয়াদে পটিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শামসুল আলম মারা যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া নগদ টাকা ও ব্যাংক ব্যালেন্স নিয়ে মা জেসমিন আক্তারের সঙ্গে ছেলে মাইনুলের মনোমালিন্য চলে আসছিল। শামসুল মাস্টারের দুই ছেলে-মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। বাবা মারা যাওয়ার পর মেয়ে শায়লা শারমিন নিপা দেশে আসেন। বাবার ৪০ দিন জেয়াফত অনুষ্ঠান দেওয়ার পর তার অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়ার কথা ছিল। সঙ্গে মা জেসমিন আক্তারকেও নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল।
নিকটাত্মীয়রা জানান, বাবার রেখে যাওয়া ব্যাংক ব্যালেন্সের নমিনি পরিবর্তনের জন্য মাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন মাইনুল। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় জনতা ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকে গিয়েছিলেন মাইনুল। ব্যাংক থেকে ঘরে ফিরে মায়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে মাকে অস্ত্র দিয়ে গুলি করেন। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।