জাতীয়

মৃত্যুর আগে ফেসবুকে যা লিখেছিলেন সেই কনস্টেবল


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নিজের অস্ত্রের গুলিতে নিহত হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল মেহেদী হাসান (২২)। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাজধানীর শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণিতে ঢাকা জেলা পুলিশের এসপি মারুফ হোসেন সরদারের বাংলোতে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি।

মৃত্যুর দুদিন আগে মেহেদীর একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে আলোচনা। সেই স্ট্যাটাসে মেহেদী কোনো একটি ঘটনায় দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। ‘ক্ষমাপ্রার্থী’ লিখে সঙ্গে একটি ইমো ও ফুলের ছবি দিয়ে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মেহেদী লেখেন, ‘কথা দিয়ে আঘাত না করে, হাত দিয়ে আঘাত করা যেত। ক্ষতটা অন্তত দ্রুত সেরে যেত।’

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৫ জুলাই থেকে রমনার শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরনিতে ঢাকা জেলার এসপির বাসার প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন মেহেদী হাসান। সেখানে শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে রমনা থানার পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আনেহেলা গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল হানিফ।

ঢাকা জেলা পুলিশের এসপি মারুফ হোসেন সরদার বলেন, বাসার প্রধান ফটকে সেন্ট্রি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মেহেদী হাসান। তার সঙ্গে গুলি লোড করা অবস্থায় রাইফেল ছিল। ওই অস্ত্রের একটি গুলি তার থুতনি দিয়ে ঢুকে মাথা দিয়ে বেরিয়ে যায়। বাকি গুলিগুলো অস্ত্রের মধ্যেই ছিল। এটি আত্মহত্যা হয়ে থাকতে পারে। আবার দুর্ঘটনাও হতে পারে। অসাবধানতাবশত ট্রিগারে চাপ লেগে গুলি বেরিয়ে থাকতে পারে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।

রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস ছালাম জানান, এসপি স্যারের ওখান থেকে ফোন আসে থানায়। আহত পুলিশ সদস্য মেহেদীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের ধারণা আত্মহত্যা করেছেন মেহেদি। তার থুতনিতে গুলি লেগেছিল। তবে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

পুলিশ কনস্টেবল মেহেদি হাসানের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার আনেহেলা গ্রামে। বাবার নাম আব্দুল হানিফ। তার কনস্টেবল নম্বর ১৩২৫।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিজের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। ওই কনস্টেবলের ব্যবহৃত অস্ত্রটিও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।