জাতীয়

মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে চালকদের বিক্ষোভ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন পাঠাও, উবারের চালকেরা। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং শাহবাগ মোড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন কয়েক শ চালক।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে গতকাল বুধবার। এ নিষেধাজ্ঞা আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। এর আগে বাসে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।

এদিকে গতকাল নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর আজ সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেলচালকেরা বিক্ষোভ করেন। বেলা পৌনে একটার দিকে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করেন পাঠাও, উবারের চালকেরা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, বেলা পৌনে একটা থেকে একটা পর্যন্ত পাঠাও, উবারের চালকেরা শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শাহবাগ মোড় দিয়ে সীমিত আকারে যান চলাচল করে।

এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুপুর দেড়টার দিকে জড়ো হন মোটারসাইকেল চালকেরা। তাঁরা সড়কে মোটরসাইকেল রেখে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। দাবি আদায়ে তাঁরা স্লোগান দেন। তাঁরা রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ করার প্রতিবাদে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে  মোটরসাইকেল চালকদের  বিক্ষোভ
রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধ করার প্রতিবাদে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মোটরসাইকেল চালকদের বিক্ষোভ

রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানী ধানমন্ডি ২৭, বাড্ডা এলাকাতেও মোটরসাইকেল চালকেরা বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের একটাই দাবি, রাইড শেয়ারিং চালু করা হোক।

যাঁরা নিয়মিত রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে যাতায়াত করেন, তাঁদের একজন ব্যাংকার জাহানারা হাসিনা। মিরপুর থেকে ধানমন্ডিতে আসা-যাওয়ায় বেশির ভাগ দিনই তিনি সকালে মোটরসাইকেল রাইড সার্ভিস নিয়ে থাকেন। আজও সেভাবেই এসেছেন গন্তব্যে। তিনি বলেন, একদিকে বাসের ভাড়া বেড়ে গেছে, তার ওপর যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়েছে।

জাকির হোসেন নামের এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, এক বছর ধরে এটাই তাঁর উপার্জনের একমাত্র পথ। হঠাৎ এই সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার নিয়ে তাঁকে না খেয়ে থাকতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক চালক বলেন, আজও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি ছয়-সাতজন যাত্রীকে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন। কোনো বাধার মুখে পড়েননি। যদিও গতকালই তিনি নিষেধাজ্ঞার খবর পেয়েছেন। এরপরও কেন নেমেছেন, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকাল থেকেই মতিঝিল, উত্তরা ও গুলিস্তানে অফিসগামী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। উবার, পাঠাও দুটি অ্যাপ থেকে না চালানোর বিষয়ে কোনো বার্তা পাননি। সকাল থেকে দুটি অ্যাপ থেকেই যাত্রীদের কল এসেছে। এমনকি সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনে বিশেষ বোনাস রয়েছে বলে পাঠাও থেকে বার্তা পাওয়ার দাবি করেন তিনি।