জাতীয়

শাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলন ঘিরে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এবার উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছেন তারা।

আজ রোববার বিকেলে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে, এতে আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে। এভাবে চললে ভবিষ্যতে ভিসির বাসভবনের জরুরি পরিসেবা বন্ধ করা হবে। তবে বর্তমানে ভিসির বাসভবনের জরুরি পরিসেবা চালু থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখা শিক্ষার্থী নাফিজা আনজুম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেব। এ সময় পুলিশ ছাড়া আর কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অবরুদ্ধ করছি, বিষয়টি ঠিক এমন না; আমরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেব না। আমরা ওখানে বসে অনশন করছি, আর সবাই গিয়ে ভিসির সঙ্গে দেখা করবেন, সেটা হয় না। এ কারণে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ হতে যাচ্ছে সন্ধ্যায়। এর মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন শিক্ষার্থী। অনশনের একশ ঘণ্টা পূর্ণ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে আন্দোলনে।

গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

১৯ জানুয়ারি বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে ২৩ জন শিক্ষার্থী। একই দাবিতে পরদিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকশো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করেন।