শিক্ষা

শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী তাদের আন্দোলন বন্ধ করার আহ্বান জানান এবং তার ওপর আস্থা রাখতে বলেন। পরে শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন।

আন্দোলনের মুখপাত্র অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে ও তদন্ত কমিটির ওপর আস্থা রেখে আপাতত সকল প্রকার অবরোধ ও আন্দোলন শিথিল/স্থগিত করছি। তবে যদি আমাদের দাবি না মানা হয় সে ক্ষেত্রে আমরা আবার আন্দোলনে যাবো।’

এ বিষয়ে রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ এর সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।

এর আগে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে আজ সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুরে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শিথিলের কথা জানান শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযােগে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হলেও সংশোধিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করা হচ্ছে না। যদিও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বহিষ্কারের পর শিক্ষার্থীরা অনশনের মতো কঠোর আন্দোলন থেকে সরে আসলেও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শুক্রবার বিকেল থেকে নতুন করে অবস্থান ধর্মঘট করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে। সেইসঙ্গে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদেরও অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন তারা।