শিক্ষা

শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে হোম ভিজিটে যেতে হবে শিক্ষকদের


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললেও এখনও অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষকদেরকে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সকল উপ পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের পাঠানো হয়েছে। তারা প্রত্যেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ নির্দেশনা পৌঁছে দেবেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিস্তারিত তথ্য একটি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীর নাম, শ্রেণি, রোল, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, কী কারণে অনুপস্থিত, গৃহীত পদক্ষেপসহ অন্যান্য বিষয় সম্বলিত থাকবে। শিক্ষকরা অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ স্থাপন করে উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে হোম ভিজিট বা অন্য কোনো মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে। প্রত্যেকটি বিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের দৈনিক উপস্থিতির (শ্রেণিভিত্তিক) হার নিয়মিতভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। শিক্ষার্থী উপস্থিতির ঘাটতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়া কোভিড-১৯ প্রভাবজনিত শিখন ঘাটতি পূরণে শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করে বিভিন্ন দলে ভাগ করে (যেখানে সম্ভব) শ্রেণির শিক্ষক ও বিষয় শিক্ষককে পাঠ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে যোগ্যতা অনুযায়ী অক্ষর চেনা, যুক্তাক্ষর, উচ্চারণ, শুদ্ধ ও সাবলীলভাবে বাংলা-ইংরেজি পাঠ্যবই পড়তে পারা শুদ্ধভাবে বাংলা বাক্য লিখতে পারা সংখ্যার জ্ঞান, নামতা, গাণিতিক দক্ষতা প্রভৃতি ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

অনলাইন ক্লাস চলমান থাকবে এবং সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সম্প্রচারিত ‘ঘরে বসে শিখি’র পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। শিক্ষার্থীর ধারাবাহিক মূল্যায়নে শ্রেণির কাজ, বাড়ির কাজ (ওয়ার্ক সিট) যাচাইকরণে ও ঘাটতি নিরূপণে শিক্ষকদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রধান শিক্ষক, শ্রেণি শিক্ষক, বিষয় শিক্ষক এবং কর্মচারীকে শিক্ষার্থীদের মনোসামাজিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে সহনশীল ও মানবিক আচরণ করতে হবে। রুটিন অনুযায়ী যে শিক্ষকের শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম থাকবে না, তারা বিদ্যালয়ে বসে অবশিষ্ট তিনটি শ্রেণির জন্য গুগলমিটে অনলাইন পাঠদান (যেখানে সম্ভব) কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। সব ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।