প্রধান পাতা

সন্তানকে ‘খুন’ করেছেন কিনা স্ত্রী আশঙ্কায় নোবেল!


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বিতর্ক ও কণ্ঠশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল একে অপরের চিরসঙ্গী, এ কথা বলাই যায়। কেননা, কিছুদিন আগ পর্যন্তও দেশের রথি-মহারথি শিল্পীদের নিয়ে তার বিভিন্ন মন্তব্য, ফেসবুক স্ট্যাটাস ভক্ত-সমর্থকদের বিরক্ত করেছে। সম্প্রতি, তার স্ত্রীর মাতৃত্বের খবর দিয়ে বিতর্কের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। সেই বিতর্কে আবার দিয়াশলাইয়ের কাজ করেছেন নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে সালসাবিল জানিয়েছেন তিনি প্রেগন্যান্ট নন। নোবেল মিথ্যাচার করেছেন। আজ নিজের ফেসবুক পেজে নোবেল জানালেন তার আশঙ্কার কথা। পিল খেয়ে তার স্ত্রী পেটের সন্তানকে খুন করে ফেলতে পারেন, এ ভয় করছেন তিনি। এ ছাড়া ঘরের তালা ভেঙে তাকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও জানান নোবেল।

আজ দুপুর ১২টার দিকে ফেসবুকে নিজের ‘নোবেল ম্যান’ পেজে পোস্টটি করেন নোবেল। আমাদের সময় অনলাইন মাধ্যমের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘মাতৃত্ব কেবল মাত্র একজন নারীর জন্যই পবিত্র কিংবা সম্মানের বিষয় নয়। একজন পুরুষের জন্যেও অত্যন্ত আনন্দের এবং খুব গর্বের একটি বিষয়। এগুলো নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করে না। একটি শিশুকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করেন মা। কিন্তু শিশুর পিতা কিন্তু সেই মা-কে ১০ মাস বুকে আগলে রাখে।

আমার স্ত্রী, সালসাবিল তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হবার লক্ষণগুলো আমার সাথে শেয়ার করেন এবং তার ফলশ্রুতিতে আমি এক্সাইটেড হয়ে স্ট্যাটাসটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করি। সম্ভব্য পিতা হিসেবে বিষয়টা কী স্বাভাবিক নয়? আপনি বাবা হবার ইঙ্গিত পেলে নিজে কী করতেন বলুন? আমি মাত্র ২৩ বছর বয়সে বাবা হবার খুশি ধরে রাখতে পারিনি।

তবে স্ট্যাটাসটি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আমার স্ত্রী, সালসাবিল আমাকে ফোন করে বাচ্চা “এবর্শন” করে ফেলবে, এই হুমকি দেয়। কারণ আমি নাকি তাঁর বাচ্চার বাবা হবার যোগ্য না। আমার অনেক হেটার্স! অনেক কন্ট্রোভার্সি। ব্যাংক ব্যালেন্স এই মুহূর্তে একটু কম। যেহেতু আমাদের শিল্পীদের গত বছর মার্চ থেকে “লাইভ কন্সার্ট” বন্ধ। তাছাড়া দুজন প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলে-মেয়ে স্বসম্মতিতে বিয়ে করেছি, তাই আমার স্ত্রীর পিতৃপক্ষ কোনোভাবেই আমাদের বিয়ে টিকতে দেবে না। এমনকি আমার ঘরের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

যদিও আমি আমার স্ত্রীকে মেডিকেল টেস্ট করবার আগেই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে স্ট্যাটাসটি দেই। মেডিকেল করলে হয়তো পজিটিভই আসতো। তবে জানিনা এতক্ষণে আমার সম্ভব্য বাচ্চাটি জীবিত আছে নাকি “পিলস” খেয়ে শিশুটির মা শিশুটিকে খুন করেছে। তবে কয়েকটি মাস পর যে শিশু বা ফেরেস্তাটি পৃথিবীর আলো দেখতো, আমার প্রাণ চলে গেলেও আমি তার প্রাণহানি হতে দিতাম না।

কিন্তু আমি তো আমার স্ত্রীর কোনো সন্ধানই যানি না। কোথায় থাকে, কার সাথে থাকে, কি করে, কি পরে, কি খায়? কিছুই যানি না। এই ১.৫ বছরের বৈবাহিক জীবনে আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী খুব অল্প সময়ই ছিল। কারন সে তার পড়ালেখা এবং তার বাবা-নানু-খালা-বোনদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সংসারটা এখনও আমার করা হয়নি। হয়তো হবে একদিন।

আমাদের সম্প্রতি পাবনা ট্যুরে আমার স্ত্রী নিজেই বলেছেন তিনি বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক। তবে কেনো আজ এই কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি। সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করার জন্য। ধন্যবাদ।’