খেলা

‘সাকিব তিনে খেললে প্লে অফে যাবে কলকাতা’


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) গত দুই আসর ধরে প্লে অফে খেলতে পারে না কলকাতা নাইট রাইডার্স। নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে দুবারই পঞ্চম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করতে হয়েছিল দলটিকে। এ ছাড়া ব্যাটিং পজিশনের তিন নম্বর জায়গাটা বরাবরই বেশ নড়বড়ে কলকাতার। গত আসরে বেশির ভাগ সময় নিতিশ রানাকে এই পজিশনে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছিল। যদিও ব্যাট হাতে তিনি ধারাবাহিক ছিলেন না। এবার এই পজিশনের জন্য সাকিব আল হাসানকে যোগ্য মনে করছেন ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। সাকিব তিনে খেললে কলকাতা প্লে অফে খেলবে বলেও মনে করেন তিনি।

কারণ হিসেবে হার্শা দেখিয়েছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপে তিন নম্বর পজিশনে সাকিবের অসাধারণ ব্যাটিং। এ ছাড়া কলকাতার ওপেনিংয়ে তিনি রেখেছেন শুভমান গিল এবং নিতিশ রানাকে। যেহেতু ব্যাট হাতে সুনিল নারিনের পরিসংখ্যান ভালো নয় তাই তাকে একাদশের বাইরেই রেখেছেন হার্শা। কলকাতার ব্যাটিং অর্ডারে সাকিব তিন নম্বর পজিশনের জন্য একজন উপযুক্ত ব্যাটসম্যান। ও তিন নম্বরে খেললে চার, পাঁচ এবং ছয় নম্বর পজিশনের ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারবে। তাদের ব্যাটিং অর্ডারটাও তখন সুন্দরভাবে সাজানো যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনি যদি ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকতে চান সেটাও আপনাকে সাকিব দিতে পারবে। এ ছাড়া আমি মনে করি সাকিব তিন নম্বর পজিশনের যোগ্য। কারণ ২০১৯ সালে এই তিন নম্বর পজিশনেই সে অসাধারণ একটি বিশ্বকাপ কাটিয়েছে। তার উপস্থিতি কলকাতার ব্যাটিংকে আরো শক্তিশালী করবে।’

সাকিব নাকি নারিন, কে খেলবে কলকাতার সেরা একাদশে? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিসংখ্যানের দ্বারস্থ হয়েছেন হার্শা। যেখানে দেখা যাচ্ছে ব্যাট এবং বল উভয় ক্ষেত্রেই নারিন থেকে এগিয়ে সাকিব। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুনিল নারিন মূলত একজন বোলার যে কিনা ব্যাট হাতে শুরুতে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নারিনের পরিসংখ্যান দেখুন। ২০১৯ সালের পর থেকে ৭.৮৮ ইকোনমিতে বল করেছিল। তারমানে বেশির ভাগে ম্যাচেই নারিন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থেকেছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাট হাতে সে কি করেছে? তার স্ট্রাইক রেট ১৫০ এর ওপরে ছিল কিন্তু তার ব্যাটিং গড় মাত্র ১৫। এর মানে সে গত বছর কলকাতাকে বেশি রান দিতে পারেনি। শুধু মাত্র একটি ইনিংসে সে বেশ রান করেছিল। যেটাতে সে ৬০ রানের একটি ইনিংস খেলেছিল।’