চট্টগ্রাম

সিডিএ’র ১২ প্রকল্প: একটিতেও ঠাঁই হয়নি নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

গত ছয় দশকে ১২টি আবাসন প্রকল্পে পাঁচ হাজারের বেশি প্লট বরাদ্দ দেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। তবে এর কোনোটিতে ঠাঁই হয়নি নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের। এসব মানুষের আবাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলা হলেও তা অপ্রতুল। ফলে বিশ্ব বসতি দিবস হলেও এসব মানুষের জন্য বসতি হয় না।

চট্টগ্রাম শহরের মানুষের আবাসন নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তবে তা দরিদ্র বা স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গত ৫৮ বছরে ১২টি আবাসন প্রকল্পের মাধ্যমে সিডিএ ৫ হাজার ১৪৩টি প্লট বাস্তবায়ন করে। প্রথম আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ১৯৬৩ সালে। নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকায় নির্মিত এ প্রকল্পে প্লট ছিল ৫৮টি।

একই বছরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় ৭৫৯টি প্লটের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সিডিএ। এরপর নগরীর আগ্রাবাদে ৩৯১টি প্লট নিয়ে ১৯৬৫ সালে আগ্রাবাদ আবাসিক এলাকা নামের আরো একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এই সংস্থা। ১৯৭৭ সালে কর্নেল হাট এলাকায় ১৬৮ প্লটের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। ১৯৮৪ সালে ৯০৪ প্লটের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সিলিমপুর আবাসিক এলাকা নামে। ২০০০ সালে চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকায় আরো একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। যেখানে প্লটের সংখ্যা ১৮০টি। এরপর ২০০২ সালে এসে ৮২টি প্লট নিয়ে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়ন করা হয়। ২০০৬ সালে নগরীর বাকলিয়া এলাকায় বাস্তবায়ন করা হয় কল্পলোক আবাসিক এলাকা।

যেখানে প্লটের সংখ্যা ছিল ৪২৩টি। এর একবছর পর ২০০৭ সালে একই এলাকায় ১৩৫টি প্লট নিয়ে বাস্তবায়ন করা হয় কল্পলোক আবাসিক এলাকা দ্বিতীয় পর্যায়। সিডিএ’র ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় ২০০৮ সালে, অনন্যা আবাসিক এলাকা। সেখানে প্লটের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৭৮টি এবং ২০০৯ সালে ষোলশহর আবাসিক এলাকায় সিডিএ’র সর্বশেষ আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। যেখানে ৪৮টি প্লট ছিল। এছাড়াও আবাসন প্রকল্পের বাইরে সিডিএ বেশ কিছু ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে এবং বর্তমানে দুই থেকে তিনটি ফ্ল্যাট প্রকল্প চলমান রয়েছে।

সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতকরণসহ বাসযোগ্য ও নিরাপদ আবাসস্থলের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব বসতি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৯৮৬ সাল থেকে সারাবিশ্বে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘এক্সিলারেটিং আরবান একশন ফর এ কার্বন ফ্রি ওয়াল্ড’। এর অর্থ হচ্ছে- কার্বনমুক্ত বিশে^র জন্য নগর কর্মকে ত্বরান্বিত করা।