প্রধান পাতা

সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ২ ফেব্রুয়ারি


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) চার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচার মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই দিন ধার্য করেন। এদিন সিনহার ভাতিজা শংখজিৎ সিংহ আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর তাঁকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন। মামলার ২১ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ চার আসামি এখনো পালাতক। অন্য তিন আসামি হলেন ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রী সান্ত্রী রায়।

গতবছরের ১৮ আগস্ট আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। এর আগে একইবছরের ১৩ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-৪-এ বদলির আদেশ দেন।

২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলাটি করেন।

আরো পড়ুন:

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগদখলে রেখে অবৈধভাবে প্রকৃত উৎস, অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন।

পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় আসামিরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়।