চট্টগ্রাম

সুজনের জায়গা বরাদ্দের ‘অনিয়ম’ খুঁজতে চসিকের তদন্ত কমিটি


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

দিন দিন বেদখল হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নিজস্ব জায়গা। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি, স্কুল কলেজে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়াসহ বিভিন্ন জটিলায় এমনিতেই আর্থিক সংকটে ভুগছে চসিক। সাথে নতুন করে অভিযোগ উঠছে- নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নামমাত্র মূল্যে চসিকের জায়গা বরাদ্দ দিয়েছেন সাবেক চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। 

এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে চসিক। যদিও সাবেক প্রশাসক সুজনের দাবি— চসিকের অনেক জায়গার কোনো হদিস ছিল না, চসিকের রেকর্ডপত্রেও ছিল না। জায়গাগুলো খুঁজে বের করে সব নিয়মনীতি মেনে অস্থায়ী ভিত্তিতে স্বল্প মেয়াদের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে তার আমলে।

এদিকে চসিকের তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে বাগমনিরাম ওয়ার্ড কাউন্সিলরও প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে ও সদস্য সচিব করা হয়েছে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে। এ কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন, আইন কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার দাশ ও সহকারী এস্টেট অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন। 

এর আগে এপ্রিলের শেষ দিকে সিটি কর্পোরেশনের নব-নির্বাচিত পর্ষদের তৃতীয় মাসিক সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তদন্ত কমিটি গঠনের।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ গিয়াস  উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখনও চিঠি পায়নি। চিঠি পেলে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও মাঠে নামি নাই। মাঠে নামার পর আমরা বলতে পারবো পত্র-পত্রিকায় যে বিষয়গুলো এসেছে সেগুলো সঠিক কি না। এটা শুধু ছয় মাসের বিষয় নয়। সিটি কর্পোরেশনের যেখানে অনিয়ম হয়েছে বিষয়গুলো আমরা দেখবো। এখানে ব্যক্তি বা প্রশাসক হিসেবে কাউকে উদ্দেশ্য করে এগুলো করা হয়নি।’

অন্যদিকে প্রশাসক সুজনের মেয়াদকালে চসিকের এস্টেট অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন কামরুল ইসলাম। এখনও চসিকের এস্টেট অফিসারা পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সুজনের মেয়াদকালে কি পরিমাণ জমি ও স্থাপনা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কল রিসিভি করেননি তিনি।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে- সুজনের সময়ে যত কম মূল্যে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে গত এক যুগের বেশি সময় ধরে এতো কম মূল্যে জায়াগা বরাদ্দের নজীর নেই। নাম সর্বস্ব পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার অভিযোগও আছে। বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১২টি জায়গা বরাদ্দে অনিয়ম হয়েছে। যারা প্রশাসকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে।