জাতীয়

সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ টাকায় চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে একযোগে হতদরিদ্রদের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর ফলে বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও আশা করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৫০ লাখ পরিবারের ৪ কোটি মানুষকে লক্ষ্য করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাপকভাবে ওএমএস কার্যক্রম শুরু হবে। এ কর্মসূচি জেলা শহর, পৌরসভা বা সিটি এলাকায় একযোগে চলবে।

এ কর্মসূচির জন্য আমাদের ২ হাজার ১৩ জন ডিলার আছে। প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন করে চাল পাবেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা ভোক্তারা মাসের হিসাবে ৩০ কেজি চাল পাবেন ১৫ টাকা প্রতি কেজি দরে। এই কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত পরিবার চাল কিনতে পারবেন। আর ওএমএসের চাল যে কেউ কিনতে পারবেন। ৩০ টাকা কেজিতে এ চাল একজন ৫ কেজি করে কেনা যাবে।

তিনি বলেন, সরকারি মজুত আছে। সাধারণ মানুষের জন্য আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করব। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে পাঁচ মাস হয়- সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল। ৫০ লাখ পরিবার যখন উপকৃত হবে তখন বাজার থেকে চাল কেনা লাগবে না।

মন্ত্রী বলেন, এখন দুইটি সিজনের সন্ধিক্ষণ। বোরো চলে গেছে, আমন আসবে। অনেক জায়গায় খরার কারণে মানুষের মধ্যে আমন ধান লাগানোর বিষয়ে ভীতিতে আছে। তার সঙ্গে পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাছাড়া পরিবহন খরচ যেটা বেড়েছে সেই হিসেবে চালের দাম বাড়েনি, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে। সেখানে আবার অসাধু ব্যবসায়ী আছে, এটা পরিষ্কার। সে কারণে মনিটর করব। অবৈধ মজুত আছে কিনা দেখতে আমাদের নিয়মিত মনিটরিং কমিটি আছে। আরও মনিটর জোরদারে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জেলের দাম বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেই সময়ের চিন্তা সেই সময়ে করা যাবে। যারা পলিসি লেভেলে আছেন তারা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে চালের দাম বেড়েছে। আমরা ভোক্তা অধিকারকে মাঠে নামতে বলেছি। আমাদের মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর থেকে ৫টি মনিটরিং কমিটি হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে তারা যেন বাজারদর মনিটর করে এবং কোথাও যদি কোনো অবৈধ ধান বা চাল মজুত থাকে, আমাদের যে ক্রাশ প্রোগ্রাম চলে সেভাবে চলবে।

এসময় চালের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানিরও চিন্তা রয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।