জাতীয়

স্বামীর চোখ উপড়ে ফেললেন স্ত্রী!


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

পরকীয়া দেখে ফেলায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে শাবল দিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী স্বামী নুরুল ইসলামের (৪৫) চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে অভিযুক্ত সাজেদা বেগমকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার দিকে পৌরসভা শহরের কালুগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পরে ভোর ৪টার দিকে আহত নুরুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

চিকিৎসাধীন নুরুল ইসলাম কালুগাড়ী গ্রামের রহিম উদ্দীনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইলেকট্রিশিয়ান। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কালুগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মোমিন মিয়া ও শামছুননাহারসহ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সাজেদার চরিত্রগত বিষয়টি সবার নজরে আসে। বিভিন্ন সময়ে তিনি একাধিক পরপুরুষের সঙ্গে ধরাও পড়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফায় সালিশ-দরবারও হয়েছে।

ভুক্তভোগীর ভাতিজা শাহ্ আলম বলেন, সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে শোরগোল শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি শাবলের আঘাতে চাচা নুরুল ইসলামের বাম পাশের চোখ উপড়ে গেছে। আঘাত কপাল ভেদ করায় সেখান দিয়ে রক্তের সঙ্গে মাথার ঘিলু বের হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।  

শাহ্ আলমের অভিযোগ, ‘একজন নারীর পক্ষে স্বামীকে এভাবে আহত করা সম্ভব না। তার দাবি, সেখানে অন্য পুরুষ ছিল। রাতে বাড়ি ফিরে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলায় প্রেমিকের সহায়তায় চাচাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ’

তবে সাজেদার দাবি, সংসারে খরচসহ এনজিওর কিস্তির টাকা না দেওয়ায় তিনিই স্বামী নুরুল ইসলামকে আঘাত করেন।

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে হাসপাতালে নুরুল ইসলামের ছেলে শামিম মিয়া জানান, তার বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কপালের আঘাত গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক সিটিস্ক্যান করতে বলেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, পরকীয়ার বিষয়টি স্বীকার না করলেও দাম্পত্য কলহের জেরে সাজেদা বেগম শাবল দিয়ে নুরুলকে আঘাত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।