Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )
কক্সবাজারসহ বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে পর্যটক মনোরঞ্জনে ব্যবহারের পর অসুস্থ, বৃদ্ধ ঘোড়াগুলোকে খুব স্বল্প মূল্যে, আবার কখনো বিনামূল্যে সংগ্রহ করতেন উখিয়া থানাধীন মরিচ্যা এলাকার মিয়া জানের ছেলে মাহবুবুল আলম ওরফে কসাই মাহবুবুল (৩৪)।
পরে কৌশলে সুবিধাজনক স্থানে রাতের আঁধারে অসুস্থ ঘোড়াগুলো জবাই করতেন। পরে সেগুলোকে গরুর মাংস বলে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করতেন মাহাবুব। এভাবে ২০ থেকে ২৫টি ঘোড়া ইতোমধ্যে জবাই করে মাংস ভোক্তাদের খাইয়েছেন তিনি।
তার অভিনব প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে ১৮ এপ্রিল পবিত্র শবে বরাতের দিন উখিয়ার মরিচ্যা বাজারে।
ভোক্তার কাছ থেকে খবর পেয়ে উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ ও স্থানীয় হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে জবাই করা ঘোড়ার মাথা, চামড়া ও মাংস জব্দ করেন।
তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মাহাবুব পালিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। এ সময় ঘোড়ার মাথা, চামরাসহ মাংস জব্দ করা হয়।
পরে প্রতারণার অভিযোগে ১৮ এপ্রিল রাতে মাহাবুবুল আলমের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা করেন হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এম মনজুর আলম।
বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার বড় ঢেপা এলাকার একটি কবরস্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) কক্সবাজার র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুবুল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করে নেন।
সে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ঘোড়ার গাড়ি টানার কাজে ব্যবহার করা অসুস্থ ও বৃদ্ধ ঘোড়াগুলোকে জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রি করতেন। এভাবে গেল কয়েক মাসে অন্তত ২০ থেকে ২৫টি ঘোড়া জবাই করে বিক্রি করেছেন বলে জানায় কসাই মাহবুবুল।
তবে তার দাবি, যেহেতু গরুর চেয়ে ঘোড়া বেশি মূল্যবান প্রাণী, তাই ঘোড়ার মাংস বিক্রি করে কোনো অন্যায় করেননি তিনি।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মাহাবুবুল গা ঢাকা দেন। গ্রেফতার এড়াতে কবরস্থানের মতো জায়গা বেছে নিয়ে সেখানে অবস্থান শুরু করেন তিনি।
প্রায় ২৪ ঘণ্টার টানা অভিযানে বুধবার (১৯ এপ্রিল) ইফতারের আগে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কসাইকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তাকে রাতে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।