জাতীয়

৩৩৩-এ ব্যবসায়ীর ফোন, ‘কৌতূহল’ মিটল চড়া মাশুলে


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

নারায়ণগঞ্জে জরুরি খাদ্যসহায়তার জন্য ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেন এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে খাদ্য সহায়তা দিতে নির্দিষ্ট ঠিকানায় ছুটে যান স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কিন্তু সেখানে গিয়ে অবাক হন তারা। যে ব্যক্তি জরুরি খাদ্য সহায়তার নম্বরে ফোন করেছেন তিনি একটি হোসিয়ারি কারখানার মালিক। তার চারতলা একটি বাড়িও রয়েছে।

জরুরি সেবার নম্বরে ফোন করে সরকারের লোকজনকে এভাবে ‘হয়রানি’ করায় ফরিদ আহমেদ নামের ওই ব্যবসায়ীকে গতকাল বৃহস্পতিবার শাস্তি দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার বাড়ি সদর উপজেলার কাশিপুরে।

ওই ব্যবসায়ীকে শাস্তি দেওয়া হয়, ১০০ গরিব পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য প্যাকেটে থাকবে ১০ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি তেল, এক কেজি লবণ, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি আলু ও মশলা।

এদিকে ৩৩৩-এ কেন ফোন করেছিলেন তা জানতে চাওয়া হলে ফরিদ আহমেদ বলেন, তিনি ওই নম্বরে ‘কৌতূহল মেটাতে’ ফোন করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘৩৩৩ নম্বরের ওই হটলাইন থেকে সাড়া পাওয়া যায় কিনা তা দেখার জন্য ফোন করেছিলাম।’

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা বলেন, ‘মহামারি আর লকডাউনে অনেক গরিব ও নিম্নআয়ের পরিবার কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও বিপাকে পড়েছে। ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে তাদের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসন জরুরি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘ফরিদ আহমেদের ফোন পেয়ে গতকাল বিকেলে খাদ্যসহায়তা নিয়ে আমি নিজেই গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ফরিদ আহমেদ চার তলা বাড়ির মালিক। জানতে পারি তার হোসিয়ারি কারখানা রয়েছে। ফরিদ তা স্বীকারও করেন।’

ইউএনও বলেন, ‘ফরিদের দাবি, সে এমনিতেই ফোন করেছে। ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। হয়রানির শাস্তি হিসেবে তাকে ১০০ গরিব মানুষকে খাদ্যসহায়তা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ ভ্রাম্যমাণ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফরিদ আজ শুক্রবার ১০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের কথা রয়েছে।