প্রধান পাতা

কাঁদতে কাঁদতে বাবা-মার লাশ চিনিয়ে দিলো ১০ বছরের মীম


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কায় আজ সোমবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২৬ জন নিহত হন। এই ঘটনায় বেঁচে ফেরে ১০ বছরের শিশু মীম। তবে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তার বাবা-মা ও দুই বোন। সবাইকে হারিয়ে নিঃস্ব মীম সারি করে রাখা লাশের মাঝে প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকে বাবা-মা ও দুইবোনের লাশ চিনিয়ে দিয়েছে। এ সময় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল শিশুটি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা মীমকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তারাও আবেগঘন হয়ে পড়েন।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মীমের বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলায়। বাবা-মা ও দুই বোনসহ ঢাকায় থাকত তার পরিবার। গতকাল রোববার তার দাদার মৃত্যুর সংবাদে ঢাকা থেকে মীমের পরিবার বাড়িতে ফিরছিল। পথে পদ্মা নদীতে দুর্ঘটনায় মীম ছাড়াই সবাই মারা যায়। মীমের বাবা ঢাকায় টেইলার্সের কাজ ও টিউশনি করে সংসার চালাতেন।’

ইউএনও বলেন, ‘দুর্ঘটনায় স্পিডবোটটি উল্টে গেলে সঙ্গে থাকা ব্যাগটি ধরেছিল শিশু মীম। সেই ব্যাগটি বুকে ধরে কোনোমতে সে পাড়ে আসে। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মীম একটু স্বাভাবিক হলে তাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি, তার বাড়ি খুলনার তেরখাদায়। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু ওই পরিবারের সক্ষম কেউ ছিল না, যারা লাশগুলো গ্রহণ করবে। পরে আমরাই দায়িত্ব নিয়ে লাশ চারটি দুজনের তত্ত্বাবধানে সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ২০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকা সরকারি ব্যবস্থাপনায় দাফনের জন্য দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মীমের ঘটনাটি আলাদা। কারণ ওর দাদা-দাদি জীবিত নেই। চাচাদের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো ছিল না। যার কারণে তারা ঢাকায় বাস করছিলেন। ওর নানা-নানিই এখন বেঁচে থাকার অবলম্বন। পরিবারের কেউ নেই।’ এ সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।

সোমবার ভোরে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় থাকা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কা লাগে। এতে ২৬ জন যাত্রী নিহত হন। ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও দুজন মারা যান। ঘটনাস্থলে শিবচর ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালান।

ইউএনও বলেন, ‘দুর্ঘটনায় স্পিডবোটটি উল্টে গেলে সঙ্গে থাকা ব্যাগটি ধরেছিল শিশু মীম। সেই ব্যাগটি বুকে ধরে কোনোমতে সে পাড়ে আসে। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মীম একটু স্বাভাবিক হলে তাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি, তার বাড়ি খুলনার তেরখাদায়। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু ওই পরিবারের সক্ষম কেউ ছিল না, যারা লাশগুলো গ্রহণ করবে। পরে আমরাই দায়িত্ব নিয়ে লাশ চারটি দুজনের তত্ত্বাবধানে সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ২০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকা সরকারি ব্যবস্থাপনায় দাফনের জন্য দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মীমের ঘটনাটি আলাদা। কারণ ওর দাদা-দাদি জীবিত নেই। চাচাদের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো ছিল না। যার কারণে তারা ঢাকায় বাস করছিলেন। ওর নানা-নানিই এখন বেঁচে থাকার অবলম্বন। পরিবারের কেউ নেই।’ এ সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।

সোমবার ভোরে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় থাকা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কা লাগে। এতে ২৬ জন যাত্রী নিহত হন। ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও দুজন মারা যান। ঘটনাস্থলে শিবচর ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালান।

শিবচরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজারের দিকে আসছিল স্পিডবোটটি। ঘাটের কাছাকাছি এলে নোঙর করা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে স্পিডবোটটি উল্টে যায়।