আন্তর্জাতিক

কুয়েতে বাংলাসহ ১৬ দেশের ভাষায় খুতবা পাঠ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

কুয়েতে সাপ্তাহিক জুমা নামাজে এবং দুই ঈদের নামাজে বাংলাসহ ১৬ দেশের ভাষায় খুতবা পাঠ করা হয়। কুয়েতের আওক্বাফ মন্ত্রনালয়ের ফিকাহ বিভাগ এই অনুমিত প্রদান করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। দেশটিতে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে। বর্তমানে কুয়েতের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় প্রায় ২২টি মসজিদে বাংলাদেশি খতিবরা বাংলা খুতব পাঠ করেন।

কুয়েতে আওক্বাফ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আরবীসহ আরও যেসব ভাষায় জুমার খুতবা পেশ করা হয়। তার তালিকা আররি (আরবী ভাষাভাষীদের জন্য), বাংলা (বাংলাদেশ ও ভারতসহ যারা বাংলা ভাষা বুঝেন তাদের জন্য), হাতের ইঙ্গিতে (বোবাদের জন্য), তেলেগু (ভারত), সিঙ্গালাম (শ্রীলঙ্কা),তামিল (ভারত ও শ্রীলঙ্কা), তেগালোগ (ফিলিপাইন),তুর্কি (তুরস্ক),পশতু (আফগানিস্তান), বাহাসা (ইন্দোনেশিয়া), ফার্সী (ইরান), মালায়াম (ভারত), হিন্দি (ভারত), উর্দু (ভারত ও পাকিস্তান), চাইনিস (চীন) এবং ইংরেজি ভাষা।

বাংলাদেশি খতিব মাওলানা খুরশিদ আলম বলেন, ‘এখানে প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। খুতবার অর্থ হল মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কক্তব্য। বাংলাদেশিরা যখন আরবি খুতবা বুঝে না। আমারা (আওক্বাফ) কুয়েতের ধর্মমন্ত্রণালয়ে আবেদন করি বাংলা খুতবা চালু করার জন্য। তাদের ফিকাহ বিভাগ সেটা বিবেচনা করে বাংলা খুতবার অনুমিত দেওয়া হয়।’

মাসিক আল হুদা সম্পাদক ও খতিব মাওলানা মামুনুর রশীদ বলেন, খুতবার মূল উদ্দেশ্যই হলো মুসাল্লিদের সমসাময়িক বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেওয়া। যেনো তারা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে পারে। বোধগম্য ভাষায় খুতবা না হলে মুসাল্লিরা অন্যমনস্ক থাকে ফলে খুতবার উদ্দেশ্য সাধিত হয় না। তাই ইসলামী বিদ্বানরা একমত যে স্থানীয় ভাষায় জুমা ও ঈদের খুতবা নিজ ভাষায় দেওয়া উচিত।