চট্টগ্রাম

দেশের প্রথম বিশেষায়িত স্ট্রোক ইউনিট চালু চমেক হাসপাতালে


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

থ্রম্বোলাইসিস থেরাপিসহ স্ট্রোক রোগীদের অত্যাধুনিক চিকিৎসায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে যাত্রা শুরু হলো বিশেষায়িত স্ট্রোক ইউনিটের। দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম কোন স্ট্রোক রোগীদের সমন্বিত চিকিৎসা কেন্দ্র। হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে চালু হওয়া ১২ শয্যার এ ইউনিট চালু হওয়ার ফলে রোগীরা সমন্বিত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পাবেন। যেখানে স্ট্রোক রোগীদের অন্যকোন সমস্যা থাকলেও এ ইউনিটে রেখেই চিকিৎসা গ্রহণ প্রদান করবেন বিশেজ্ঞ চিকিৎসকরা। গতকাল দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্ট্রোক রোগীদের পৃথক এ ইউনিট উদ্বোধন করা হয়। স¤প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নিউরোলজি বিভাগের বিশেযজ্ঞ চিকিৎসক মো. ওয়াহিদুর রহমানের নামে (ওয়াহিদুর রহমান মেমোরিয়াল স্ট্রোক ইউনিট) নতুন এই স্ট্রোক ইউনিটের নামকরণ করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এতদিন স্ট্রোক রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষ কোন ইউনিট বা সেবা কেন্দ্র চালু ছিল না। যার কারণে সাধারণ ওয়ার্ডে রেখেই অন্য রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা প্রদান করা হতো স্ট্রোক রোগীদের। এতে করে ওয়ার্ডে সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় কিংবা ফ্লোরে রেখে স্ট্রোকের রোগীদের চিকিৎসা দিতে বাধ্য হতেন চিকিৎসকরা। তবে বিশেষায়িত নতুন এ ইউনিট চালু হওয়ার ফলে চালু হওয়ার ফলে স্ট্রোক রোগীরা সহজেই গ্রহণ করতে পারবেন সমন্বিত চিকিৎসা সেবা।
নিউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এই স্ট্রোক ইউনিট গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো খুব দ্রুত সময়ে যেসব রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন, তাদেরকে থ্রম্বোলাইটিক থেরাপির মাধ্যমে একটি বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদান করা। এই থেরাপির মাধ্যমে স্ট্রোক রোগীর হাতে পায়ে প্যারালাইসিস হওয়া রোধ করা যাবে। এই থেরাপি এমন একটি সেবা, যার প্রাপ্তির সময়সীমা খুবই সীমিত। স্ট্রোক হওয়ার সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা যদি এই সেবা শুরু করতে না পারি। তাহলে তা ফলপ্রসূ হবে না।
চিকিৎসকরা জানান, খুব শীঘ্রই থ্রম্বোলাইসিস থেরাপি চালু করা হবে। যা চট্টগ্রামের কোথাও এখন পর্যন্ত চালু নেই। সময় মতো এ থেরাপি প্রদান করা হলে মৃত্যুর হার কমার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সমস্যাও কম হয় রোগীদের। একই সঙ্গে স্ট্রোকের পরবর্তীতে যে অক্ষমতা বা প্যারালাইসিস এটা হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে আসে। যদিও এ উন্নত চিকিৎসা দেশের বাইরেই বেশি দেয়া হয়ে থাকে বলেও জানান চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার বলেন, এই ইউনিটে অত্যাধুনিক থ্রম্বোলাইসিস চিকিৎসার মাধ্যমে স্ট্রোকজনিত মৃত্যুর হার এবং শারীরিক অক্ষমতা অনেকাংশে কমে আসবে। এটি চালু হওয়ার ফলে রোগীরা উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবেন।
এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সম্প্রতি চালু হওয়া চমেক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি কেয়ারে সিটি স্ক্যান স্থাপনের কথা। চিকিৎসকরা বলছেন, সিটি স্ক্যান স্থাপন হলে স্ট্রোক রোগীদের জন্যও অনেক সুফল হবে।
উল্লেখ্য, সরকারি পর্যায়ে দেশে স্ট্রোক রোগীদের সমন্বিত চিকিৎসা সেবা শুধুমাত্র ঢাকার নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটেই আছে। তবে দেশের কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৃথক স্ট্রোক ইউনিট চালু নেই। চমেক হাসপাতালে চালু হওয়া এ ইউনিটেই দেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম কোন বিশেষায়িত স্ট্রোক ইউনিট।