খেলা

বাংলাদেশের ইংল্যান্ড পরীক্ষা আজ


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুচিটাই এমন, সত্যিকার অর্থেই বিশ্রামের খুব একটা সুযোগ নেই। বাংলাদেশের বেলায় এই সুযোগটা আরও কম মনে হচ্ছে। টাইগাররা বিশ্রামতো দূরের কথা মানসিক স্বস্তিতে আছেন কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। স্কটল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে শুরুর পর মুল পর্বের শুরুটা শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ক্যাচ মিসের মহড়ায় হার দিয়েই।

সুবাদে সমালোচনার বাণে জর্জরিত ক্রিকেটাররা। এরমধ্যে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্কটিশ কাণ্ডের পর যা বলেছিলেন তা নিয়ে বিস্তর কথাবার্তা হয়েছে। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে অর্ধশতক উপহার দেওয়া মুশফিকুর রহিমের সমালোচকদের আয়নায় মুখ দেখতে বলার পর সেই ‘চর্চা’ আরও বেড়েছে। আর এই অবস্থায় অনেকটা গনগন করে জ্বলতে থাকা উনুনের উত্তাপের মধ্যে আজ আবার ইংল্যান্ড পরীক্ষা, নাহ্, অগ্নিপরীক্ষা বলাই ভালো। আবুধাবিতে বিকাল ৪টায় ম্যাচটি শুরু হবে, দেখাবে বিটিভি, জিটিভি ও টি স্পোর্টস। শুধু সমালোচনা থামানোই নয়, বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলতে হলে টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের প্রথম স্বাক্ষাতেই হারাতে হবে। বাংলাদেশ দল অনেকবারই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছে। সাদা পোশাকে ও রঙিনেও। কিন্তু রঙিনে ধুম-ধাড়াক্কা ভার্সণে টাইগাররা আজই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ইংলিশদের বিরুদ্ধে। আবুধাবিতে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখনও পর্যন্ত এই ভেন্যুতে মূল পর্বে যে একটি ম্যাচটি হয়েছে, সেখানে বোলাররাই বেশি সুবিধা পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার এ্যাডাম জ্যাম্পা ২১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার তাবরাইজ শামসি ১ উইকেট নিয়েছেন ২২ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ফিঙ্গার স্পিনার কেশভ মহারাজ, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার পার্ট টাইমার গেøন ম্যাক্সওয়েলও সেদিন ছিলেন বেশ কার্যকর। সেক্ষেত্রে আজ ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদকে মোকাবেলা করতে হবে টাইগারদের। বলে রাখা ভালো, সুপার টুয়েলভ পর্বে শক্তিশালী দলের ভিড়ে শ্রীলংকাই মূলত বাংলাদেশের সাধ্যের মধ্যে ছিল বলে ধরা হয়ে এসেছে। যেহেতু সা¤প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পাল্লাই ভারী। কিন্তু এই দলের বিপক্ষেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দারুণ শক্তিশালি। টি- টোয়েন্টি এলেই অদ্ভুদ কারণে সেই বাংলাদেশকেই পাওয়া যায় না। তবে ইংলিশরা কিন্তু একেবারে অচেনা নয়। বাংলাদেশ দল সবকিছুর উর্দ্ধে থেকে ক্রিকেটে মনোনিবেশ করার পর সেরাটা খেলতে পারলে সাফল্য খুব সম্ভব। ওয়ানডে বিশ্বকাপে পর পর দুই আসরে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে ২০১৫-তে এ্যাডিলেইডে মরগ্যানের দলের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও উঠেছিল টাইগাররা। কিন্তু এর পর থেকে সময় বদলেছে, ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইংল্যান্ডও নিজেদের এমন বদলে ফেলেছে যে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে তাঁরা বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিল। কার্ডিফে আগে ব্যাট করে তাঁরা ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান তুলতেই ম্যাচের নিয়তি লেখা হয়ে যায়। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই নিয়তি বদলাতে হলে আগে বের হওয়া চাই ‘চর্চা’ থেকে এবং টি- টোয়েন্টিতে করে যাওয়া নিজেদের ভুলের ফাঁদ থেকেও!