জাতীয়

নেহাও মদপান করেন ব্যাম্বুসুটে


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এর আগে, সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী এ বি এম খায়রুল ইসলাম লিটন রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানিতে বলেন, ‘এই মামলার মূল হোতা রিমান্ডে রয়েছেন। কিন্তু আসামি নেহাকে কেন রিমান্ড চাইল আমার বোধগম্য না। তাকে রিমান্ডে নিয়ে তথ্য উদঘাটন করার কিছু নেই। ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে তারা সবাই গিয়েছিল। সবাই মদপান করেছে। নেহার বিরুদ্ধে তো ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ নেই। নেহা তো মদপান করায়নি। মদপান করিয়েছে ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্ট। তাই নেহাকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। দয়া করে রিমান্ড নামঞ্জুর করা হোক।’

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ শুনানিতে বলেন, ‘এই মামলা মূল হোতা নেহা। তিনি ডিজে নেহা নামে পরিচিত। তাকে রিমান্ডে নিলেই মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন হবে।’ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে আজিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নেহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্র জানায়, ২৮ জানুয়ারি মদপানের পর নেহাও অসুস্থ ছিল। তবে গ্রেপ্তারের সময় তিনি মোটামুটি সুস্থ ও সবল ছিলেন। সেদিন তারা যে মদপান করেন সেগুলো নেহার ছেলে বন্ধু কিনে এনেছিল। নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, পাশাপাশি তার বন্ধুর পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে খুঁজতেও অভিযান চলছে।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর একটি পার্টিতে মদপানের পর রহস্যজনক মৃত্যু হয় ইউল্যাব শিক্ষার্থীর। এ ঘটনায় একটি মামলা করেন নিহত তরুণীর বাবা। মামলার এজাহারে ওই তরুণীকে মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার কথা বলা হয়েছে। এতে সহযোগী হিসেবে চারজনের নাম উল্লেখসহ মোট পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন- ওই তরুণীর বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১)। মামলায় তাকে ধর্ষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য চার সহযোগীর মধ্যে তিনজন হচ্ছেন- নুহাত আলম তাফসির (২১), আরাফাত (২৮) ও নেহা (২৫)। আরেক বন্ধুর নাম জানা যায়নি। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে আরাফাত নামে একজন মারা গেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী (তরুণ) উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

এজাহারে বলা হয়েছে, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল। তাদের চোখের সামনেই ধর্ষণ করা হয়।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খান কোকোকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৩১ জানুয়ারি তরুণী মারা যান।