জাতীয়

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে কৃষিপণ্য পরিবহনে যুক্ত হচ্ছে লাগেজ ভ্যান


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যান। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বৃহৎ নগরগুলোতে ‘লাগেজ ভ্যান’ এর মাধ্যমে পৌঁছানো সহজ হবে। কবে নাগাদ এ পদ্ধতি চালু হবে, তার কোনো দিনক্ষণ এখনো নির্ধারিত হয়নি।

রেলওয়ের সূত্রগুলো বলছে, লাগেজ ভ্যান চালু হলে কৃষকেরা কৃষিপণ্য স্বল্প সময় ও খরচে সহজে একস্থান থেকে অন্যস্থানে বাজারজাত করে লাভবান হবেন। এছাড়া দেশের শহরগুলোতে টাটকা কৃষিপণ্য সহজে পৌঁছানো যাবে। রেলওয়েতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। যা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।

সূত্র মতে, লাগেজ ভ্যানে ২৮টি রেফ্রিজারেটর পচনশীল দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য রাখা রয়েছে। নতুন ১০টি মোটরভ্যান ১০টি স্পেশাল কারকেরিয়ার রেলবহরে সংযোজনের মাধ্যমেই বিদেশ থেকে আমদানিকৃত মোটরসমূহ চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আসার সুযোগ থাকবে।

সূত্র জানায়, লাগেজ ভ্যানগুলো উন্নতমানের বগি সম্বলিত হওয়ার কারণে মিটারগেজ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, ব্রডগেজ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির লাগেজ ট্রেন চালানো হবে। আবার অটোমেটিক এয়ারব্রেক সিস্টেম ভ্যানগুলো আন্তঃনগর সব ট্রেনে সংযোজন করে অতিদ্রুত এবং নিরাপদ ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন জানান, রেলওয়েতে বর্তমানে ৪১টি মিটারগেজ, ১০টি ব্রডগেজ ভ্যান রয়েছে। যেগুলো অনেক পুরোনো। বর্তমানে লোকাল ও মেইল ট্রেনে ব্যবহৃত হয়। তাই এসব ভ্যানে সেবা দেওয়া এখন সম্ভব নয়।

তার মতে, রেলওয়ের রোলিং স্টক সংগ্রহ এর আওতায় ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের জন্য এশীয় ব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। একটি কোম্পানির মাধ্যমেই ৭৫টি মিটারগেজ ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের জন্য গত ৩১ আগস্ট চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে সব লাগেজ ভ্যান বাংলাদেশ পৌঁছানো শুরু হবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহীদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান রেলবান্ধব সরকার রেলওয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান। বিগত কয়েক বছর কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও কৃষকরা প্রতিযোগিতামূলক যথাযথ পরিবহন সুবিধার অভাবে ফসলের যৌক্তিক মূল্য পাচ্ছে না।

তিনি মনে করেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য শাক-সবজি মৌসুমি ফল, ফুল এবং অন্যান্য পচনশীল দ্রব্যাদি মাছ, মাংস, দুধ, দুগ্ধজাত খাবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব স্থানে সহজে স্বল্প মূল্যে পৌঁছে দেওয়া যাবে। লাগেজ ভ্যানে ট্রেনের মাধ্যমে কৃষিপণ্য পরিবহনের যদি সুযোগ সৃষ্টি হয়, কৃষক ও গ্রাহক উপকৃত হবে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।