জাতীয়

ফাইজারের টিকায় শিশুদের ঝুঁকির চেয়ে উপকার বেশি


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড ১৯ টিকা প্রয়োগের সম্ভাব্য যে উপকার হবে, তার তুলনায় হৃদযন্ত্রে প্রদাহের বিরল ঘটনাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) বিজ্ঞানীরা। এই বয়স শ্রেণির শিশুদের মধ্যে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ কার্যকারিতা মিলেছে বলে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি দাবি করার পরদিন তাতে এফডিএর সমর্থনের এখবর দিল রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।
এখন পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের এই টিকা ব্যবহারে ব্যবহারের অনুমোদন এফডিএ দেবে কিনা মঙ্গলবার সংস্থাটির বাইরের বিশেষজ্ঞরা ভোটাভুটির মাধ্যমে তা ঠিক করবেন। অনুমোদন পেলে এই বয়স শ্রেণির জন্য এটাই হবে এফডিএ অনুমোদিত প্রথম টিকা, যা নভেম্বরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পাওয়া যেতে পারে। ফাইজার/বায়োএনটেক ও মডার্না- উভয়ের তৈরি টিকার প্রয়োগের সঙ্গে বিশেষত শিশু-কিশোরদের মধ্যে মায়োকার্ডাইটিস নামে হৃদযন্ত্র প্রদাহের কিছু বিরল ঘটনার সম্পৃক্ততা মিলেছে।
এফডিএর কর্মকর্তারা বলছেন, বেশিরভাগ প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে এই বয়সশ্রেণির মধ্যে মায়োকার্ডাইটিসের ঘটনা ১২ থেকে ১৫ বছর বয়স শ্রেণির মতোই হবে ধরে নিয়ে বলা যায় হৃদযন্ত্রের এই প্রদাহের কারণে হাসপাতালে যাওয়ার যত ঘটনা ঘটেছে, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি কোভিডে হাসপাতালে যাওয়া ঠেকানো গেছে। তবে এফডিএর কাছে জমা দেওয়া নথিতে ফাইজার বলেছে, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের মধ্যে মায়োকার্ডাইটিসের ঝুঁকি কম থাকবে। কারণ ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের চেয়ে তাদের নিম্নতর ডোজ দেওয়া হয়েছিল।
ওষুধ কোম্পানিটি বলছে, তাদের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে প্লাসিবো (স্বান্ত্বনা ওষুধ) পাওয়া ১৬ জন শিশু কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়, যেখানে টিকা পাওয়াদের মধ্যে মাত্র তিন জন আক্রান্ত হয়। দুই হাজার ২৬৮ অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে পরিচালিত এই পরীক্ষায় যত সংখ্যক শিশুকে প্লাসিবো দেওয়া হয়েছিল, তার দ্বিগুণের বেশি শিশুকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে এটার কার্যকারিতা ৯০ শতাংশের বেশি হয়।
৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের নিয়ে ফাইজারের এই পরীক্ষায় ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা পরিমাপ করা উদ্দেশ্য ছিল না। বরং মূল্য উদ্দেশ্য ছিল শিশু ও বয়স্কদের শরীরে টিকার প্রভাবে অকার্যকর হওয়া অ্যান্টিবডির পরিমাণের তুলনা করা। ওই ফলাফলের ভিত্তিতে গত মাসে ফাইজার ও বায়োএনটেক বলেছিল, তাদের কোভিড-১৯ টিকার ফলে শিশুদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়।
নিরাপত্তা ডেটা উন্নয়নের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বিস্তৃত করে আওতাধীন শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর হয়েছিল বলে শুক্রবার দাবি করেছে ফাইজার। নথি অনুযায়ী, পরে যুক্ত হওয়া ওইসব শিশুদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পর্যালেচনা করে টিকার নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক কিছু মেলেনি। এই বয়স শ্রেণির ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিভিন্ন দিকের সঙ্গে সাধারণত ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা তুলনাযোগ্য।