প্রধান পাতা

বাবুলের সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পিবিআই


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যাকাণ্ডে পাঁচ বছর পর গ্রেপ্তার পুলিশের বরখাস্ত এসপি বাবুল আক্তার পুলিশকে তার বাসার ভুল ঠিকানা দিয়েছেন। মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় যে মামলা করেছেন, সেখানেও তাই বাবুল আক্তারের ঢাকার ঠিকানা ভুলভাবে লেখা হয়েছে। ভুল ঠিকানার কারণে তার সন্তানকে পাওয়া যাচ্ছে না। মামলার তদন্তকে এগিয়ে নিতে তার সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপমহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার জানান, হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী বাবুলের সন্তানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। কিন্তু বাসার যে ঠিকানা দিয়েছেন সেখানে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।

মামলার এজাহারে যে তথ্য দেয়া হয়েছে বাদির পক্ষ থেকে সেটাও ভুল। এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, বাবুল আক্তারের বাসার ঠিকানা লেভেল-৭, সড়ক নম্বর ১১, বাসা নম্বর ২২, ব্লক সি, বাবর রোড। আদতে মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে কোনো বাসার হোল্ডিং নম্বরই এমন নয়। পুলিশ সাংবাদিক কেউই খুঁজে পাননি সেই বাসা।

বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, বাবুল আক্তার পিবিআইকে যে ঠিকানা দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই তিনি মামলায় ওই ঠিকানা লেখেন। ওই ঠিকানায় মিতুর দুই সন্তান বাবুল আক্তারের বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে আছেন বলে বাবুল পুলিশকে জানিয়েছিলেন। নাতি-নাতনিদের নিয়ে তারা চিন্তায় আছেন।

গত শুক্রবার ভুল ঠিকানা দেয়ার বিষয়টি জানতে পেরে বাবুল আক্তারের কাছে সঠিক ঠিকানা চায় পিবিআই। প্রথমে তিনি ঠিকানা দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ঠিকানা দিয়ে দেন। বাবুল আক্তারের গাড়িচালকের সহায়তায় ঠিকানা শনাক্ত করার চেষ্টা করে তারা। এই গাড়িচালককে নিয়েই বাবুল আক্তার পিবিআইয়ের ডাকে গত সোমবার চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। তবে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের ওই বাসায় তার স্ত্রী ও সন্তানেরা নেই। সোমবারই তারা বাসায় তালা দিয়ে চলে গেছেন।

বাবুল-মিতুর প্রথম সন্তানকে স্কুলে নেয়ার পথেই ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীতে খুন হয়েছিলেন মিতু। নগরীর জিইসি মোড়ের কাছে দিনের বেলায় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সে সময় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে।

স্ত্রী নিহত হওয়ার পর ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছিলেন। প্রায় পাঁচ বছর পর গত বুধবার ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। ওই দিনই বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বাবুল এখন পাঁচ দিনের রিমান্ডে পুলিশি হেফাজতে আছেন।

স্ত্রী খুন হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বাবুল আক্তার। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি তিনি একটি ব্যবসা শুরু করেছিলেন বলে তার পরিচিতজনেরা জানিয়েছেন।