আন্তর্জাতিক

বাসে আগুন দিয়ে ৩০ যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

বাসে দস্যুদের দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ৩০ যাত্রী। দগ্ধ হয়েছেন আরও কয়েকজন। দেশটির প্রশাসন মৃতের সংখ্যা ১৭ জনের বলে দাবি করলেও স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্য তারা ৩০ জনের মরদেহ দেখতে পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) নাইজেরিয়ার সোকোতো প্রদেশে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার সোকোতো প্রদেশের সশস্ত্র এই সন্ত্রাসীরা ডাকাত নামে পরিচিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে বহুবার এ ধরনের হামলা চালিয়েছে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। একইসঙ্গে রাস্তা ও মহাসড়কে ভ্রমণকারীদের ওপরও তারা হামলা চালিয়ে থাকে। এমনকি মুক্তিপণের জন্য দেশটির বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের অপহরণও করে থাকে তারা।

নাইজেরিয়া পুলিশের বরাত দিয়ে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাটির খবরে বলা হয়েছে, সাবোন বির্নি এবং বোর্নো রাজ্যের গিদান বাওয়া গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়কে চলা বাসটিতে অতর্কিত আগুন ধরিয়ে দেয় বন্দুকধারীরা। বাসে যারা আগুন দিয়েছে তারা স্থানীয়ভাবে দস্যু বলে পরিচিত। গতবছরও দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি গ্রামে হামলা চালিয়ে একশর মতো শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছিল তারা।

তবে হতাহতদের উদ্ধারে অংশ নেওয়া স্থানীয় দু’জন বাসিন্দা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময় বাসটি যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল এবং নিহতের সংখ্যাও অনেক বেশি। তারা বলছেন, মৃতদেহগুলো এতোটাই পুড়ে গেছে যে সেগুলোর পরিচয় শনাক্ত করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় ওই দুই বাসিন্দা আরও জানিয়েছেন, তারা কমপক্ষে ৩০টি মৃতদেহ গুণেছেন এবং নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ডাকাতি, হত্যা, লুটপাট, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বন্দি ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধ বন্ধে নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদেক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আইএস (ইসলামিক স্টেট) পশ্চিম আফ্রিকা শাখার সদস্যরাও নিয়মিত এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ বছর ধরে নাইজেরিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।