চট্টগ্রাম

লকডাউনে বিয়ে, পুলিশ দেখেই দৌড়ে পালালেন বর কনেসহ অতিথিরা!


Warning: strlen() expects parameter 1 to be string, array given in /home/khalinews/public_html/wp-includes/functions.php on line 262
(Last Updated On: )

সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রীতিমতো কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। পাঁচশত  থেকে ছয়শত অতিথির উপস্থিতিতে সাজসাজ রব।

কেউ খাচ্ছেন, কেউ বা আবার উপহার বুঝিয়ে দিয়ে পান চিবুতে চিবুতে খোশগল্পে মাতছেন।  শাড়ি লেহেঙ্গার ঝকমারি সাজে বিয়ে আনন্দে উদ্বেল তারা। এতসব আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে সবাই হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন যে, দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় এসব অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে থেকেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার কর্ণফুলী কনভেনশন হলে।
কনভেনশন হলে  বেলা বাড়তে অতিথি সমাগম বাড়ার সাথে সাথে ঘনিয়ে আসে বিয়ের ক্ষণও।

দুপুর ১ টার দিকে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন রাউজান রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার-এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।

বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলের সামনে পুলিশের গাড়ি দাঁড়াতেই হুলস্থুল পড়ে যায়। পুলিশ দেখে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেয় সবাই। পগারপার কমিউনিটি সেন্টার ও কর্ণফুলী কনভেনশন হলের ব্যবস্থাপক এবং আয়োজক ছেলে-মেয়ের মা-বাবাও।  প্লেট,খাবারদাবার, উপহার সব ফেলে দৌড়ে পালাতে শুরু করে অতিথিরা। বাদ যাননি বর রফিকুল ইসলাম এবং কনে শাহনাজ বেগমও। সুযোগ বুঝে সন্তর্পণে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন  তারা। উৎসবে গমগম করা একটি বিয়েবাড়ি মুহূর্তে ভুতুড়ে বাড়িতে রূপ নেয়।

এ বিষয়ে এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন,  আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয়শত অতিথির উপস্থিতিতে সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। কিন্তু আমাদেরকে দেখেই তারা যে যার মতো করে অনুষ্ঠানস্থল হতে চলে যান। ঘন্টা দুয়েক এদিকওদিক খোজখবর করে  ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন বাদশা এবং পাত্রীর পিতা মো. জামাল উদ্দিনের হদিস মেলে। পরে তারা দুইজন আমার নিকট এই মর্মে মুচলেকা দেন। তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ এবং আয়োজকদেরকে প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হয়েছে।